সংঘর্ষ, হামলা, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এসব ইউনিয়ন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে পাঁচ জেলায় সহিংসতায় ১১জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরাজয়ের খবর পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ১২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফলাফল অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল হাসান, সুহিলপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশীদ ভূঁইয়া, বুধলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান, তালশহর পূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম, নাটাই উত্তরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু ছায়েদ, সাদেকপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দিন এবং রামরাইল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মশিউর রহমান সেলিম বিজয়ী হয়েছেন।
সুলতানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ওমর ফারুক ও মাছিহাতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আল আমিনুল হক এবং বাসুদেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাকিম মোল্লা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।
আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, চরচারতলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইজুর রহমান, তালশহর পশ্চিমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলাইমান মিয়া, আড়াইসিধায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সায়েম, দুর্গাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাসেল মিয়া, তারুয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল সাদির, শরীফপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফ উদ্দিন এবং লালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোরশেদ মিয়া বিজয়ী হয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩টিতে আওয়াামী লীগের প্রার্থী এবং চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিতরা হলেন- উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নে আওয়াামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী, ইমামপুরে হাফিজুজ্জামান খাঁন জিতু, গজারিয়া সদরে শফিউল্লাহ শফি, ভবেরচর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাহিদ মো. লিটন, টেঙ্গারচরে ঘোড়া প্রতীকের কামরুল ইসলাম ফরাজী, বালুয়াকান্দিতে মোটরসাইকেল প্রতীকের শহিদুজ্জামান জুয়েল সরকার ও হোসেন্দী ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের হাজ্বী মোহাম্মদ আক্তার হোসেন।
ফরিদপুর
পঞ্চম ধাপে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ৪টি ও সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে ৫টিতে আওয়াামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
এর মধ্যে মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মো. রাকির হোসেন চৌধুরী (চশমা), রায়পুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন মিয়া (আনারস), বাগাটে মো. মতিয়ার রহমান খান (নৌকা) ও জাহাপুরে মো. শামসুল ইসলাম বাচ্চু (নৌকা) বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে সদরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বিজয়ীরা হলেন- ভাষানচর ইউনিয়নে শেখ আবদুল মান্নান (মোটরসাইকেল), কৃষ্ণপুরে আক্তারুজ্জামান তিতাস (নৌকা), ঢেউখালীতে মো. মিজানুর রহমান (নৌকা), সদরপুরে কাজী জাফর (মোটরসাইকেল), চরবিষ্ণুপুরে শেখ আব্দুল আলীম (চশমা), আকোটেরচরে মো. আসলাম ব্যাপারী (নৌকা), চরমানাইতে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম (চশমা), চরনাসিরপুরে মো. রোকনুদ্দীন (আনারস) ও নারকেলবাড়িয়ায় মো. নাসিরুদ্দিন (চশমা)।
কুষ্টিয়া
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী একজন এবং ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে নির্বাচন অফিস ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজয়ীরা হলেন- সদর উপজেলার গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নে মো. লাল্টু রহমান (নৌকা), হাটশ হরিপুরে এম মুশতাক হোসেন মাসুদ (মোটরসাইকেল), বটতৈলে মিজানুর রহমান মিন্টু ফকির (ঘোড়া), আলামপুরে আখতারুজ্জামান বিশ্বাস (চশমা), আইলচারায় সিদ্দিকুর রহমান (আনারস), পাটিকাবাড়ীতে শেখ রেজভি উজ্জামান কানু (ঘোড়া), ঝাউদিয়ায় মেহেদী হাসান (চশমা), উজানগ্রামে সানোয়ার হোসেন মোল্লা (আনারস), আব্দালপুরে আলী হায়দার স্বপন (মোটরসাইকেল), হরিনারায়ণপুরে মেহেদী হাসান সম্রাট ( মোটরসাইকেল) এবং মনোহরদিয়া ইউনিয়নে জহুরুল ইসলাম জহুর (ঘোড়া)।
নোয়াখালী
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১টিতে আওয়ামী লীগ এবং আটটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে তাদের বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম।
আওয়ামী লীগের বিজয়ীরা হলেন- চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নে এস এম বাকী বিল্লাহ, পাঁচগাঁওয়ে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পরকোটে বাহার আলম, খিলপাড়ায় (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা) মো. আলমগীর হোসেন, সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নে মো. মিরন অর রশীদ, নদনায় হারুন অর রশীদ, দেওটিতে নুরুল আমিন শাকিল, জয়াগে শওকত আকবর, অম্বরনগরে মো. আক্তার হোসেন দুদু, নাটেশ্বরে মো. কবির হোসেন ও সোনাপুর ইউনিয়নে মো. আলমগীর হোসেন।
এছাড়া চাটখিল উপজেলার শাহাপুর ইউনিয়নে আবদুল্লাহ, রামায়ণপুরে মো. হারুন অর রশীদ, মোহাম্মদপুরে মো. মেহেদী হাসান, বদলকোটে মো. সোলায়মান, সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে মো. হানিফ, আমিশাপাড়ায় খলিলুর রহমান প্রতীক, বারগাঁওয়ে সাইয়েদ আহমেদ এবং বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলি ইউনিয়নে শামসুল আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
পাবনা
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনার বেড়া উপজেলার ৯টি ও ফরিদপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে বেড়ার ২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই নৌকা প্রতীকের দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
ফলে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ করা ১৩টি ইউনিয়নের ৮টি স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ৫টি নৌকার প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে বেড়া উপজেলার ৭টির মধ্যে ৬টিতেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে স্ব স্ব কার্যালয়ে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
বিজয়ীরা হলেন- বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের আব্দুল হামিদ, কৈটোলাতে ঘোড়া প্রতীকের মহসিন উদ্দিন, চাকলায় ঘোড়া প্রতীকের মো. ইদ্রিস আলী, নতুন ভারেঙ্গায় আনারস প্রতীকের আবু দাউদ, জাতসাকিনীতে আনারস প্রতীকের আবুল কালাম আজাদ মানিক , রূপপুরে আনারস প্রতীকের মো. মহন এবং ঢালারচর ইউনিয়নে নৌকার প্রতীকের কোরবান আলী।
এই উপজেলার নৌকা প্রতীকের পুরান ভারেঙ্গায় রফিক উল্লাহ এবং মাসুমদিয়ায় শহীদুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেছেন।
ফরিদপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে নৌকার সরোয়ার হোসেন, হাদলে নৌকার সেলিম রেজা, বৃলাহিড়ীবাড়ীতে নৌকার জাহিদুল ইসলাম রিপন, পংগলীতে নৌকার সাজেদুল ইসলাম সুমন, ডেমরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা এবং বনওয়ারী নগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।
সাতক্ষীরা
পঞ্চম ধাপে সাতক্ষীরার আশাশুনি, কলারোয়া ও শ্যামনগর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিজয়ীরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক (জামায়াত), বুধহাটায় মো. মাহবুবুল হক ডাবলু (আ.লীগ), কুল্যায় ওমর সাকী ফেরদৌস পলাশ (আ.লীগের বিদ্রোহী), দরগাহপুরে শেখ মিয়ারাজ আলী (আ.লীগ), আশাশুনি সদর এস এম হোসেনুজ্জামান (আ.লীগ), শ্রীউলায় দীপংকর বাছাড় দিপু (আ.লীগের বিদ্রোহী), খাজরায় এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম (আ.লীগ), আনুলিয়ায় রুহুল কুদ্দুস (বিএনপি), প্রতাপনগরে হাজী মো. দাউদ আলী (জামায়াত) ও কাদাকাটি দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ (আ.লীগ)। এই উপজেলায় বড়দল ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় সেখানকার ফলাফল জানা সম্ভব হয়নি। তবে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র সানা ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মন্টুর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নে জাফরুল আলম বাবু (আ.লীগ), শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু (আ.লীগ) ও ইশ্বরীপুর ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট জিএম শোকর আলী (আ.লীগ) নির্বাচিত হয়েছেন।
কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নে স.ম গোলাম মোর্শেদ (আ.লীগ) ও কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে গাজী সাঈদ আলী (আ.লীগের বিদ্রোহী) জয়ী হয়েছেন।
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের ২১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের মারাত্মক ভরাডুবি হয়েছে। এর মধ্যে চুনারুঘাটের ১০টি ইউনিয়নের মাত্র চারটিতে নৌকা প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তিনটিতে। বিএনপি দুটি এবং জামায়াত একটিতে জয়ী হয়েছেন।
তারা হচ্ছেন— গাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি মক্কার জেদ্দা নগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, আহম্মদাবাদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জাকির হোসেন পলাশ, দেওরগাছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. মহিতুর রহমান সুমন ফরাজি, পাইকপাড়ায় আওয়ামী লীগ দলীয় মো. ওয়াহেদ আলী মাস্টার, শানখলায় জামায়াত সমর্থিত অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, উবহাটায় বিএনপি নেতা এজাজ ঠাকুর চৌধুরী, সাটিয়াজুরী আওয়ামী লীগ দলীয় আবদালুর রহমান, রাণীগাও আওয়ামী লীগ দলীয় মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, মিরাশি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় মানিক সরকার।
এদিকে মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তবে এ উপজেলায় বিএনপির জয়জয়কার। পাঁচটি ইউনিয়নেই বিএনপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
তারা হচ্ছেন— জগদীশপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাসুদ খান, আন্দিউড়ায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আতিকুর রহমান, বহরায় আওয়ামী লীগের দলীয় মো. আলাউদ্দিন, বাঘাসুরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাব উদ্দিন, ধর্মঘরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ফারুক আহমেদ পারুল, চৌমুহনীতে বিএনপির মাহবুবুর রহমান সোহাগ, শাহজাহানপুরে বিএনপির পারভেজ আলম চৌধুরী, ছাতিয়াইনে বিএনপির মিনহাজ উদ্দিন আহমেদ কাসেদ, নোয়াপাড়ায় বিএনপির সৈয়দ সোহেল, আদাঐরে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর খোর্শেদ আলম, বুল্লা ইউনিয়নে বিদ্রোহী মিজানুর রহমান।
পিএসএন/এমঅাই