নির্বাচন কমিশন গঠনে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করার আগে বিএনপিসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নাম জমা দিলে তা আমলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সার্চ কমিটি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানিয়েছে সার্চ কমিটি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, সার্চ কমিটি আমাদের জানিয়েছে- ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করার আগে বিএনপিসহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নাম জমা দিলে তা আমলে নেওয়া হবে।
এদিন বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে যোগ দিতে ৮ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আসা ৩২২ জনের নাম প্রকাশ করেছে অনুসন্ধান কমিটি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর প্রস্তাবিত নাম প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সাবেক আমলা।
তালিকায় দেখা যায়, ৫৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষাবিদের নাম রয়েছে। সাবেক বিচারপতি, বিচারক ও আইনজীবীসহ বিচারাঙ্গনের ৬৭ নাম। সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক ২৮ কর্মকর্তার নাম রয়েছে তালিকায়, অন্তত ১০ জন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার নামও প্রকাশ করা হয়েছে। রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার নামও। তালিকায় স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। যদিও পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারা এই নাম প্রস্তাব করেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে ১৩৬ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। পেশাজীবী সংগঠন দিয়েছে ৪০ জনের নাম। নির্ধারিত ই-মেইলে এসেছে আরও ৯৯ জনের। আর ব্যক্তিগত পর্যায়ে নাম প্রস্তাব করেছেন ৩৪ জন। এ ছাড়া বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়ও বেশ কিছু নামের প্রস্তাব পেয়েছে কমিটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় শতভাগ নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। তবে তালিকায় থাকা দক্ষ আর বিবেকবান ব্যক্তি বাছাই করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সার্চ কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে দশজনের নাম জমা দেবে। সেই তালিকা থেকেই নতুন কমিশনের নাম প্রকাশ করা হবে।
পিএসএন/এমঅাই