প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত কুক দ্বীপপুঞ্জের রয়েছে নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নিজেদের কোনো পাসপোর্ট নেই। নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট দিয়েই সব কার্যক্রম চালাতে হয় তাদের। এবার নিজেদের জন্য আলাদা পাসপোর্ট দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক ব্রাউন। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, স্বাধীন না হওয়ায় কুক দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা আলাদা পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন না।
কুক দ্বীপপুঞ্জ অভ্যন্তরীণভাবে স্বশাসিত হলেও প্রতিরক্ষা ও বেশির ভাগ বৈদেশিক বিষয়ের জন্য তারা নিউজিল্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক মাস ধরেই প্রধানমন্ত্রী ব্রাউন কুক দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দাদের জন্য আলাদা পাসপোর্ট ও নাগরিকত্বের জন্য চাপ দিচ্ছেন ওয়েলিংটনকে। যদিও কুক দ্বীপপুঞ্জের সাধারণ বাসিন্দাদের আশঙ্কা, সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ নিউজিল্যান্ডে তাদের কাজ ও স্বাস্থ্যসেবা অধিকারের মতো বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।
রোববার নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেন, পৃথক পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব শুধু সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য। যদি কুক দ্বীপপুঞ্জের সরকারের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা হয়, তবে সে জন্যও তারা আলোচনা করতে প্রস্তুত।
এই বক্তব্যের পরপরই নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন ব্রাউন। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে কুক দীপপুঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকে প্রভাবিত করে– এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না বলেও জানান তিনি। ডেনমার্কের অধীনে থাকা গ্রিনল্যান্ড ও ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রের অধীন পুয়ের্তোরিকো বিশ্বজুড়ে থাকা আরও কয়েকটি স্বশাসিত অঞ্চলের উদাহরণ। সূত্র: বিবিসি