‘আপনার বয়স কত?’ এমন প্রশ্ন যদি কোনো পুরুষকে করা হয়, তাহলে সঠিক বয়স বলে দেবেন। যদি একজন নারীকে এ প্রশ্ন করা হয়, তাহলে হয়তো উত্তরই পাবেন না। কিংবা ভুল উত্তর পাবেন। কারণ অধিকাংশ নারীই নিজের বয়স গোপন করতে চান। বিষয়টি অনেকের কাছেই একটি রহস্য।
এই বয়স লুকানোর পেছনে নানাবিধ কারণ লক্ষ্য করা যায়। পারিবারিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণেও অনেকে বয়স গোপন করতে পারেন। তবে বর্তমানের নারীরা অনেকটা স্পষ্টবাদী। তারা বয়স প্রকাশ্যে আনতে আগের মতো লুকোছাপা করেন না। নিজের সঠিক বয়সটিই সদর্পে জানিয়ে দেন।
তবুও আসুন জেনে নেওয়া যাক, নারীর বয়স গোপন করার কিছু রহস্য—
বিয়ে-বিষয়ক
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিয়ের ক্ষেত্রে কম বয়সী নারীরই জয়জয়কার। তাই বিয়ের উপযুক্ত পাত্রী হয়ে ওঠার জন্য অনেক নারীই নিজের বয়স লুকিয়ে রাখেন। এমনকি খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবের কাছেও সঠিক বয়স বলেন না।
আরও পড়ুন: বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে যে কথা বলা জরুরি
কম বয়স
অনেক নারীই মনে করেন, বয়স কম বললে তাদের দেখতেও কম বয়সী দেখাবে। এ ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেক নারী বয়স লুকিয়ে থাকেন।
পুরুষের মন
পুরুষের মন পাওয়ার ইচ্ছা সব নারীরই থাকে। আর পুরুষও খোঁজেন কম বয়সী নারী। তাই তারা ভাবেন নিজের বয়স কমিয়ে বললে পুরুষের মন পাওয়া সহজ হবে। পুরুষের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হওয়া যাবে।
পরিবারের শিক্ষা
আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বিষয় হলো, বাড়ির বড়রা তাদের সন্তানদের আসল বয়স বলতে নিষেধ করেন। তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা রকম কুসংস্কার কাজ করে। ফলে নারীরা তাদের সঠিক বয়স কাউকে বলতে চান না।
বুড়িয়ে যাওয়া
অধিকাংশ নারীর মনে সাধারণ একটি ফোবিয়া থাকে। তা হলো বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়। বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা নানা রকম রূপচর্চা, প্ল্যাস্টিক সার্জারি এবং যোগ ব্যায়াম করেন। লোকে বয়স্ক ভাবে কি না তাই নিজের সঠিক বয়সও বলতে চান না।
অন্যের প্রতি ঈর্ষা
নিজের পরিচিত কোনো কম বয়সী নারীর পাশে থাকলে অধিকাংশ নারীই নিজের বয়স লুকাতে চান। ঈর্ষা থেকেই হোক আর নিরাপত্তাহীনতা থেকেই হোক—প্রবণতাটি কমবেশি নারীর মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
তবে বর্তমানে বিভিন্ন কারণে বয়স লুকিয়ে রাখা সহজ নয়। কেননা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা কর্মজীবনে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। এসবের কারণে নারী-পুরুষ উভয়েরই বয়স প্রকাশ্যে চলে আসে। সুতরাং বয়স লুকাতে চাইলেও এখন আর তা সহজ হয়ে ওঠে না।