গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদির আদলে নব্য লুটেরা যারা চাঁদাবাজি করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় তারা গণঅধিকার পরিষদকে ভয় পায়।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত তারুণ্যের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, নোয়াখালীতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে সমঝোতা করে চলা নব্য চাঁদাবাজ লুটেরা ত্রাস সৃষ্টিকারীরা গণঅধিকার পরিষদের গণজোয়ার দেখে দিশেহারা। তারা ফ্যাসিস্ট দোসরদের সহায়তায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে আমাদের সমাবেশ পণ্ড করতে চায়। এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ সবাইকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামীতে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন দিয়ে ফ্যাসিবাদ প্রথা নির্মূল করতে হবে। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে চার বছরে নিয়ে আসা এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ চালু করতে হবে।
নুর বলেন, এক লুটেরা গেছে আরেক লুটের দেশ দখল করতে চায়। এখন আপনাদের (জনগণ) সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগের মতো লুটেরাদের সঙ্গে থাকবেন নাকি তারুণ্যের জোয়ার গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে থাকবেন।
তিনি বলেন, চীনের দুঃখ হোয়াংহো নদী আর নোয়াখালী দুঃখ নোয়াখালী খাল। বিগত ফ্যাসিস্টরা এখানে ৩২৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে লুটপাট করেছে। এখন আবার নতুন লুটেরারা লুটপাটের পাঁয়তারা করছে। এসব লুটপাটকারীদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। দখলদার চাঁদাবাজকে দেখতে চাই না। নতুনদের দেখতে চাই। লুটেরারা যাতে আবার মাথাচাড়া দিতে না পারে আমরা সেটাই চাই।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে যে বাংলাদেশ এসেছে সে বাংলাদেশের সুযোগে কাজে লাগিয়ে আগামী বাংলাদেশ নির্ণয় করতে হবে। নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে যেখানে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না। আগামী বাংলাদেশ তৈরি করতে জনগণের ক্ষমতা তৈরি করতে হবে সাধারণ মানুষদের নেতা তৈরি করতে হবে।
সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুজ জাহের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, নোয়াখালী জেলা সভাপতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।