সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশনার হিসেবে চারজনকে বেছে নিয়েছে সরকার।
সার্চ কমিটির সুপারিশের আলোকে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আগামী রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট লাউঞ্জে নবনিযুক্ত পাঁচ কমিশনার শপথ নেবেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ পড়াবেন বলে প্রধান বিচারপতির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহ্মদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এর আগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের তালিকা সুপারিশ আকারে পাঠানো হয়। তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে বাছাই করে সরকার। আগের তিন নির্বাচন কমিশন গঠনের সময় সার্চ কমিটির সদস্যরা বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নাম জমা দিলেও এবার তারা যাননি। এর আগে সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে নাম আহ্বান করা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির তালিকায় এ এম এম নাসির উদ্দীনের নাম ছিল।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পাওয়া এই কমিশনের অধীনেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপেজলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ অন্য সব নির্বাচনও হবে এ কমিশনের অধীনে।
গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেয়া হয়। সবশেষ বৃহস্পতিবার ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।