নতুন বছরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার জন্য তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যোগ্য হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে ভোটার তালিকায় স্থান না পাওয়াদের তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চারজন নির্বাচন কমিশনারের (ইসি) নেতৃত্বে চারটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে কমিশনের প্রথম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমাদের হাতে ১৭ লাখ মানুষের তথ্য এসেছে। এসব তথ্য আগামী বছরের পহেলা জানুয়ারিতে সন্নিবেশ করা হবে। এসব মানুষ নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হবেন। এই ১৭ লাখ মানুষের মধ্যে ১৩ লাখ মানুষের তথ্য ২০২২ সালে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকিরা নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে গিয়ে নিবন্ধন করেছেন। এছাড়া ২৭ লাখ মানুষ ভোটার হওয়ার যোগ্য হলেও ভোটার হতে পারেননি।
তিনি বলেন, পহেলা জানুয়ারি হালনাগাদ করা ভোটারদের তথ্য ২ জানুয়ারি থেকে দাবি–আপত্তির শুনানির পর ২ মার্চ খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু আমরা চাই, বাদ পড়া ব্যক্তিরা তালিকায় সন্নিবেশিত হোক। এ জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারা ছাড়াও যারা ২০২৫ সালে যারা নতুন ভোটার হবেন, তাদের তথ্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়াটাও সহজ হবে। এতে করে ২০২৫ সালের তথ্যও পাওয়া যাবে। আশা করা যাচ্ছে যে, ২ মার্চের পরেই এই কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
সভায় চারজন কমিশনারের অধীনে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনগুলো হলো- ইসি সানাউল্লাহর নেতৃত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও তথ্যপ্রযুক্তি কমিটি’, ইসি আব্দুর রহমানেল মাছউদের নেতৃত্ব ‘আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি’, ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে ‘সীমানা পুনঃনির্ধারণ, জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও তদারকি কমিটি’ এবং ইসি তহমিদা আহমদের নেতৃত্বে ‘নিয়োগ, পদোন্নতি, প্রশাসনিক সংস্কার ও পুনর্বিন্যাস এবং দক্ষতা উন্নয়ন কমিটি’।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। এ নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। এই অভিযোগগুলো কমিশনের গঠিত সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।