নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানা এলাকায় ৬ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ডাকাতি করা ১১ ভরি স্বর্নালংকারসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
ডাকাতির অভিযোগে আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন-খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর গ্রামের তারা ভূইয়ার ছেলে গোলাম রসুল (৩৪),একই গ্রামের জলিল মোল্যার ছেলে জাকির হোসেন মোল্যা, একই উপজেলার আটলিয়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে রাকিবুল ইলাম (৩৩), গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফলসী ফুকরা গ্রামের শাহেদ আলী মোল্যার ছেলে আল-আমীন (৩১), একই গ্রামের বালাম শেখের ছেলে তারিকুল ইসলাম (৩২) এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার কালো শশি ভৌমিকের ছেলে অরুণ ভৌমিক (৫২)। আটকদের মধ্যে গোলাম রসুলের নামে বিভিন্ন থানায় ৭টি ডাকাতি ও ১টি অস্ত্র আইনে মামলা এবং জাকির হোসেনের নামে বিভিন্ন থানায় ১টি ডাকাতি ও ২টি চুরির মামলা রয়েছে। এছাড়া লুন্ঠিত সোনা কেনার অপরাধে কাশিয়ানি উপজেলার রামদিয়া বাজারের পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালা (৩৯) ও নড়াগাতী থানার বড়দিয়া বাজারের অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ শিকদারকে (৩৫) আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, তারেক আল মেহেদী, দোলন মিয়া,নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান,গত ২ জুলাই দিনগত রাত আড়াইটার দিকে নড়াগাতি থানার নলামারা গ্রামের মফিজুর চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা নগদ অর্থ,স্বর্ণালঙ্কার, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৭ জুলাই নড়াগাতী থানায় মামলা হলে পুলিশ ডাকাতদের চিহ্নিত করতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।গত ৭ জুলাই রাতে একই এলাকায় ২য় দফায় ডাকাতি করার পরপরই পুলিশ তাদের মালামালসহ গ্রেফতার করে।আটক ডাকাতরা মফিজুরের বাড়িতে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করেছিল বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানিয়েছে। দ্বিতীয়বার ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সুপার জানান।