নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি উদ্ধার কর্মীরা। তবে একটি ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ধলেশ্বরী নদীর মাঝে একটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পান উদ্ধার কর্মীরা। তবে ট্রলারটি এই ঘটনার নয় বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ধলেশ্বরীর মাঝে একটি ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এটি পুরনো একটি ট্রলার। আমরা বিআইডব্লিউটিএ’কে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।
যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের মধ্যে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কিশোরগঞ্জের নিয়ামতপুর এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), ফতুল্লার উত্তর গোপালনগর এলাকার রোকসত আলীর ছেলে মোতালেব (৪২), চরবক্তাবলীর রাজু সরকারের ছেলে সাব্বির (১৮), চরমধ্যনগর এলাকার একই পরিবারের সোহেল মিয়ার স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩০) এবং তার দুই মেয়ে তাসমিন আক্তার, তাসফিয়া আক্তার ও ছেলে তামিম (২), উত্তর গোপাল নগর মসজিদের মুয়াজ্জিন আবদুল্লাহ এবং হকার শামসুদ্দিন (৬৫)।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঘন কুয়াশার কারণে ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৩টি ইউনিটের কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট ও কোস্ট গার্ড।
এদিকে, এমভি ফারহান-৬ লঞ্চটিকে ঢাকার কালীগঞ্জ এলাকার নিজস্ব ডকইয়ার্ড থেকে জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ওই লঞ্চের চালক, মাস্টারসহ ৪ জনকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
লঞ্চটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন। লঞ্চ মালিক সমিতি জানিয়েছে, এমভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিক বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। লঞ্চটি ঢাকা-বরিশাল পথে চলাচল করে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা হচ্ছে, মাস্টার কামরুল ইসলাম, লঞ্চের চালক (ইনচার্জ) মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন ভূঁইয়া (৪০), সুকানি জসিম মোল্লা (৩০)।
পিএসএন/এমঅাই