ধর্মা প্রোডাকশন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহুল জনপ্রিয় একটা নাম। ২০১০ এর দশক জুড়ে করণ জোহরের নেতৃত্বে কোম্পানিটি উন্নতির সীমা ছাড়িয়ে যায়। ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘টু স্টেটস’, ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’, ‘ডিয়ার জিন্দেগি’, ‘রাজি’, এবং ‘সিম্বা’ এর মতো জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশন।
কিন্তু করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি হয়েছে। যা কিনে নিয়েছেন ১০০০ কোটি রুপিতে ব্যবসায়ী আদর পুনাওয়ালা। এক প্রকার বাধ্য হয়েই, নিজের ধর্মা প্রোডাকশনের অর্ধেক বিক্রি করে দিয়েছেন করণ জোহর। কিন্তু কেন?
প্রোডাকশন হাউজটির সময় ভালো যাচ্ছে না। চলতি বছরে ধর্মা প্রোডাকশনের রেভিনিউ কমে গিয়েছে অর্ধেক। আয় ৫০ শতাংশ কমে ৫০০ কোটির আশেপাশে রয়েছে।
টপলার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মা ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৫৯ লাখের সামান্য মুনাফা করেছে। আর এই তথ্যই প্রশ্ন তুলছে, যে এই কারণেই কি কোম্পানিটির আদর পুনাওয়ালার কাছ থেকে ১০০০ কোটি রুপির প্রয়োজন পড়ল? নাহলে, পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসার শেয়ার কেন অন্যের হাতে দিতে যাবে ধর্মা?
২০১৯ সাল নাগাদ, ধর্মা বছরে ৭০০ কোটির বেশি আয় করেছে এবং এর মধ্যে প্রায় ২৭ কোটি লাভও করেছে। তারপরে করোনা মহামারী আঘাত হানে, বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সিনেমা জগৎ। অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার মতো ধর্মা প্রোডাকশনের রেভিনিউ ৮৩ শতাংশ এবং লাভ ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
কোভিড-১৯ মহামারীর পরে এই প্রোডাকশন হাউসের কামব্যাক বক্স অফিস কাঁপিয়ে গিয়েছে। জুগ যুগ জিও, ব্রহ্মাস্ত্র, এবং সূর্যবংশীর মতো সফল ছবির মাধ্যমে, কোম্পানিটি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১০০০ কোটির বেশি আয় করেছে। ফ্যাবুলাস লাইভস এবং কফি উইথ করণ-এর মতো জনপ্রিয় শো চালিয়েও ভালোই লাভ করেছে।
কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে ধর্মা। সেলফি এবং যোধার মতো সিনেমাগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকি কফি উইথ করণও আগের মত দর্শক পায়নি। আয় অনেক কমে গিয়েছে। কোম্পানির অংশ বিক্রি করা ছাড়া করনের আর কোনও উপায় ছিল না। যদিও তিনি নিজের বাবার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাননি, তাই অর্ধেক বেচে দিয়েছেন। ট্রেড বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, করণ ও আদরের এই চুক্তি ধর্মাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেবে।