চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে এ পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রায় ১০ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে কিয়েভ।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হতাহতের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ। যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে অর্থাৎ গত ৩ জুন পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে এ বিবরণ দেন ওলেক্সি। খবর বিবিসির।
ইউক্রেন বলছে, তারা যুদ্ধে প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন করে সেনা হারাচ্ছে। আহত হচ্ছেন আরও শতাধিক।
তবে ওলেক্সি আরেস্তোভিচের দাবি, চলমান সংঘাতে রাশিয়ার ক্ষতির পরিমাণ ইউক্রেনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি তার। অন্যদিকে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের অনুমান, নিহত রুশ সেনার সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি।
যদিও গত ২৫ মার্চের পর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের ক্ষয়ক্ষতির কোনো সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ। এর আগে ইউক্রেনে ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানায় মস্কো।
হতাহতের সংখ্যা নিয়ে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি এসব দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিতে এমন বিতর্কের মধ্যেই ইউক্রেনের তিনটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়া। শনিবার (১১ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রুশ সামরিক বাহিনী মিকোলাইভ অঞ্চলে ইউক্রেনের দুটি এমআইজি-২৯ এবং খারকিভ অঞ্চলে একটি এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে, রাশিয়ার আর মাত্র এক বছরের মতো ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করে কিয়েভের সামরিক গোয়েন্দা অধিদফতর। চলমান যুদ্ধে ইউক্রেন ‘উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে’ রয়েছে বলেও দাবি সংস্থাটির।
পিএসএন/এসআই