লতি মাসের প্রথম পাঁচ দিনে দুই লাখের বেশি অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেমে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। সেসব মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসি জানিয়েছে, বৈধ করার সপক্ষে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দিতে না পারলে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) বিটিআরসি এক পরিসংখ্যানে জানায়, গত ১ অক্টোবর থেকে পাঁচ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৭ হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে। এরমধ্যে বৈধ তিন লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৩ এবং অবৈধ দুই লাখ আট হাজার চারটি সেট।
কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অবৈধ দুই লাখের বেশি মোবাইল সেটের গ্রাহককে বার্তা পাঠানো হয়েছে যাতে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে নিবন্ধন করে নেয়। অন্যথায় বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন খান বলেন, অবৈধ মোবাইল ফোন বিক্রি না করতে দোকানদারদের বলা হয়েছে। কেউ অবৈধ ফোন বিক্রি করলে এবং তা বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে।
বিটিআরসি এক নির্দেশনায় জানিয়েছে, জাতীয় পরিচিতি ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ-প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত/আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করা এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে ১ জুলাই এনইআইআর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে নেটওয়ার্কে নতুনভাবে সংযুক্ত সব অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।
মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার পূর্বে মেসেজ অপশন থেকে KYD <space> ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ স্বরূপ KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠানোর মাধ্যমে হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাই করে ক্রয় করা, বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনীত অথবা ক্রয়কৃত অথবা উপহারপ্রাপ্ত অনুমোদিত সংখ্যক মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারের আগে www.neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করা, কোনো আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান/স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংযোজন ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধ হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি না করা এবং বিক্রেতা কর্তৃক অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিটিআরসি আরও জানায়, কোনো বিক্রেতা অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি করলে ক্রেতার দাবি অনুযায়ী বিক্রেতাকে হ্যান্ডসেটের মূল্য ফেরত দিতে হবে।
বিটিআরসির এ নির্দেশনা মেনে চলতে দেকানদাররা কথা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ-পরিচালক জাকির হোসেন খান।
অবৈধ হ্যান্ডসেট উৎপাদন/আমদানি/ক্রয়/বিক্রয় করলে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় বিটিআরসি।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগেই মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে চায় না কমিশন। গ্রাহকদের সুযোগ দিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়।