খুবিতে নানা আয়োজনে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
আজ ১৮ অক্টোবর ২০২১ খ্রি. তারিখ সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্রাতা শেখ রাসেল এর ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় কালজয়ী মুজিব এর পাশে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।এছাড়া সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (বালিকা) গল্লামারীতে পাঠাগার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি ফিতা কেটে উদ্বোধনের পর পাঠাগার ঘুরে দেখেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ পাঠাগারের জন্য শিশুতোষসহ প্রয়োজনীয় বই উপহার দেওয়া হয়েছে। এর আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, শহিদ শেখ রাসেলের জন্মদিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পালনে মন্ত্রিপরিষদে ‘শেখ রাসেল দিবস’ ঘোষণা মহতী উদ্যোগ। এই দিবসের মাধ্যমেই দেশের সকল শিশুর অধিকার, শিক্ষা ও মানসিক বিকাশের বিষয়টি সামনে চলে আসবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা চাই শিশুরা নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে বেড়ে উঠুক। কারণ তারাই ভবিষ্যতের নাগরিক তিনি শিশুদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নানা উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন। উপাচার্য বলেন, গল্লামারীর এই কেন্দ্রটির শিশুদের কার্যক্রম দেখে তিনি অভিভূত। উপাচার্য সেখানে নিবাসী ছিন্নমূল শিশুদের পরিবেশিত ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপূরী’ এই নৃত্যসঙ্গীতটি দেখে আবেগআপ্লুত হন এবং সঙ্গীত শেষে তাদেরকে উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশটা সত্যিই স্বপ্নপূরী করা সম্ভব যদি সবাই দুর্নীতিমুক্ত থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তির জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করি।এসময় উপ-উপাচার্য, বিভিন্ন স্কুলের ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সূচনা বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক (উপ-সচিব) মোঃ আব্দুর রহমান। পরে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। এর আগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।