প্রথম ইনিংসে ১৫৯, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩। চট্টগ্রামের ব্যাটিং স্বর্গে সর্বশেষ টেস্টে এভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধসে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ভালো ব্যাটিং হয়নি মিরপুরেও। এমনকি কানপুর ও চেন্নাই টেস্টেওে ব্যাটিংয়ে বাজে প্রদর্শনী দেখিয়েছে বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। কিন্তু ভরসা পাওয়ার মতো এখনো কোন বার্তা পাওয়া যায়নি। অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ছিটকে গেছেন। নেই অধিনায়ক নাজমুল শান্তও।
তারপরও পুরনো স্মৃতি মাথা চাড়া দিচ্ছে। অ্যান্টিগার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সর্বশেষ টেস্টের দুই ইনিংসেই ধসে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০২২ সালের সফরে প্রথম ইনিংসে ১০৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৫ রান করে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছিল ১০ উইকেটে।
তবে চলতি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজও। চলতি বছর টেস্টে ব্যাটারদের গড় রানের হিসেবে সবার নিচে আছে ক্যারিবীয়রা। ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ২২.৮৯ গড়ে রান তুলেছেন তাদের ব্যাটাররা। আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের নিচে আছে তারা।
নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের বিপরীতে দুই দলের পেস বোলাররাই দারুণ বোলিং করছেন। হাসান মাহমুদ টেস্টের বোলিংয়ের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন। নাহিদ রানা গতির ঝড় দেখাচ্ছেন। তাসকিন আহমেদ খারাপ করেননি। অন্য দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজও জেইডন সিলস, সামারাহ জোসেপ, কেমার রোচ ও আলজারি জোসেপকে নিয়ে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ভয় ধরানোর মতো বোলিং আক্রমণ।