ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশনই বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে এলো ১০৬ রান।দ্বিতীয় সেশনে ৯৪ রান। প্রতি সেশনে উইকেট পতন ১টি করে।
সবমিলিয়ে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ২০০ রান। ৭৮ রানে ব্যাট করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২১ রানে অপরাজিত মুমিনুল হক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিনে বুধবার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ।
কিন্তু দলীয় ৮ রানেই বিদায় নেন ওপেনার সাইফ হাসান। লঙ্কান পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাইফ (০)। যদিও শুরুতে নট আউটের ইশারা করেন ফিল্ড আম্পায়ার। কিছুক্ষণ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগার পর রিভিও নেন স্বাগতিক অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। আর তাতে সিদ্ধান্ত আউট আসে।
শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তামিম ও শান্ত। তামিম তো রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করেন। ৫৩ বলে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৯তম ফিফটিও। এর মধ্যে ৪০ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে। এক সময় তো বলের চেয়ে রানই ছিল বেশি। ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে নিজেকে কিছুটা সামলে নেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তামিম ফিফটির দেখা পাওয়ার পর রানের গতি কিছুটা কমে আসে। দ্বিতীয় সেশনে লঙ্কান বোলাররাও গুড লেন্থ খুঁজে পান। এরমধ্যেও ১২০ বলে ৭ চারে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। এটি তার ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি। অন্যপ্রান্তে তামিম ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। দুজনে ১৪৪ রানের দারুণ জুটিও গড়েন।
কিন্তু বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে স্লিপে থাকা থিরিমান্নের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থামেন তামিম। ১০১ বল খেলে এই ইনিংসটি সাজানোর পথে ১৫টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মুমিনুল ধীরেসুস্থে ব্যাটিং করে শান্তকে সঙ্গ দিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তাদের জুটিতে এসেছে ৪৮ রান।