বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকর। চলচ্চিত্র জগতে তার অভিনয় বারবার ভক্ত-অনুরাগীদের মন ছুঁয়ে গেছে। সিরিয়াস চরিত্র হোক বা কমেডি ঘরানার ছবি নানা পাটেকরের জুড়ি মেলা ভার।
তার অভিনয় নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়েদের মনে দাগ কেটে রেখেছে। তারকাদের রঙিন জীবনের আড়ালে থাকে অনেক যন্ত্রণা। বুকে কষ্ট চেপে রেখেই দর্শকের মনোরঞ্জন করে চলেন।
ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ-কষ্টের ছাপ কোনও ভাবেই পর্দায় পড়তে দেন না তারা। নানা পাটেকরের জীবনেও রয়েছে সেইরকমই এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।
বড় ছেলের মৃত্যুর পর কীভাবে দিন কাটিয়েছেন সেই দুঃখের কাহিনি অনুরাগীদের শোনালেন নানা পাটেকর। ছেলের মৃত্যুর দুঃখ ভুলতে দিনে ৬০ টি সিগারেট খেতেন নানা পাটেকর
নানা পাটেকর বলেন, ‘জন্মের সময় থেকেই আমার ছেলে দুর্বাসার একটা চোখে সমস্যা ছিল। চোখে দেখতে পেত না। আমি যখনই ওকে দেখতাম খুব বিরক্ত লাগত। ভাবতাম লোকে দেখলে কী বলবে। আমি কখনও ভাবতাম না ও কী ভাববে। আমার ভাবনা ওকে কতটা আঘাত করছে। আমার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা ছিল, লোকে কী ভাবছে। ও দেড় বছর বেচে ছিলো।’
এ অভিনেতা বলেন, ‘দুর্বাসা মারা যাবার পরে দুঃখ ভুলতে দিনে ৬০ টি সিগারেট খেতাম। বুঝতে পারতাম এটা খুব খারাপ জিনিস। সিগারেটের ধোঁয়ার জন্য কেউ আমার সঙ্গে গাড়িতে বসত না। আমি মদ খুব কম খেতাম, তবে সিগারেট আমাকে গ্রাস করেছিল। গোসল করার সসয় প্রচুর সিগারেট খেতাম। বোন যখন দেখত আমার প্রচণ্ড কাশি হচ্ছে তখন আমাকে বলেছিল কী চাও তুমি? সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও দিন সিগারেট খাইনি।’