দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী অনুসন্ধান ব্যুরো। এছাড়া ইউন প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গত সপ্তাহে সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে তদন্তের আওতায় থাকা ইউনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ব্যুরোর প্রধান কৌঁসুলি এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। খবর বিবিসির
এর আগে গত মঙ্গলবার হঠাৎই দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন ইউন সুক ইওল। তবে সামরিক আইন জারির পরপরই প্রচণ্ড বিক্ষোভের মুখে তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন।
এদিকে ইউনকে অভিশংসনের চেষ্টায় গত শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটিও হয়েছে, তবে তা ব্যর্থ হয়। ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) বলেছে, প্রেসিডেন্ট ‘সুশৃঙ্খলভাবে বিদায়’ না নেওয়া পর্যন্ত দলটির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করবেন।
রোববার জনসাধারণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পিপিপি নেতা হান দং হুন বলেন, পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট থাকলেও তিনি দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরের কোনো কাজে যুক্ত হবেন না। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান দুক সো সরকারি কার্যক্রমগুলো সামলাবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকেরা দেশের নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ জানাচ্ছেন। তারা বলছেন, এখন দেশের নেতৃত্ব কে দিচ্ছেন, সে বিষয়টি যথেষ্ট সুস্পষ্ট নয়।