থাইল্যান্ডের কমপক্ষে ১০ মন্ত্রী এবং আরও ডজনখানেক আইনপ্রণেতা সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসার পর বুধবার থেকে এসব সংসদ সদস্য আইসোলেশনে গেছেন। এদিকে রাজধানী ব্যাংককে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছেই। খবর রয়টার্সের।
বুধবার স্থানীয় টেলিভিশনকে পরিবহনমন্ত্রী সাকসিয়াম চিদকোব জানান, তার দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। অপরদিকে তার দল ভুমজাইথাই পার্টি জানিয়েছে, অন্যান্য মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা এবং জোটের রাজনীতিবিদরা সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত বেশ কয়েকজনের সংস্পর্শে এসেছেন।
সে কারণেই একাধারে বহু মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা এবং রাজনীতিবিদ এখন সেলফ আইসোলেশনে আছেন। গত সপ্তাহ থেকেই থাইল্যান্ডে সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। তবে এক বছরের বেশি সময় ধরে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, কোয়ারেন্টাইন, টেস্টিং কন্টাক্ট ট্রেসিং প্রটোকলের কারণে আশেপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় থাইল্যান্ডে সংক্রমণ এখনও কম।
বুধবার নতুন করে আরও ৩৩৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯০৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৯৫ জন।
মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক বুধবার থেকে ভার্চ্যুয়াল হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। সংক্রমণ যেন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য মন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, সামনের সপ্তাহে নববর্ষ পালনের বিষয়ে লোকজনকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশটিতে প্রতি বছরই নববর্ষ উদযাপনে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও জনসমাগমে বিধি-নিষেধ থাকছে।
ব্যাংককের স্থানীয় প্রশাসন চলতি সপ্তাহের শুরুতে দু’সপ্তাহের জন্য তিন জেলার ১৯৬টি বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন করে আড়াই শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।