মেজাজ ভালো থাকলে তিনি সবসময় প্রিয়জনের পাশে থাকেন। কিন্তু রাগ চড়লেই মুশকিল। নিজের প্রেমিকা কিংবা প্রিয়জনকেও তখন ছেড়ে কথা বলেন না সালমান খান।
এবার ভাইজানের তেমনই রাগের সাক্ষী হলেন তারই ভাতিজা আরহান খান। রীতিমতো আরবাজ খানের ছেলেকে বকুনি দিলেন তিনি।৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছে আরহানের সঙ্গে সালমানের নতুন পডকাস্ট। সেখানেই ভাতিজার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রেগে যান সালমান।পডকাস্টে হিন্দির সঙ্গে ইংরেজি মিশিয়ে কথা বলছিলেন আরহান ও তার বন্ধু। এটা দেখেই চটে যান ভাইজান। সালমানের আপত্তি, কেন শুধু হিন্দিতে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কথা বলেন না আরহান?
পডকাস্টে আরহানের সঙ্গে ছিলেন তার আরও দুই বন্ধু আরুষ বর্মা ও দেব রাইয়ানি। অতিথির আসনে ছিলেন অভিনেতা। ভাতিজাকে তার বন্ধুদের সঙ্গে অনবরত ইংরেজিতে কথা বলতে দেখে সালমান বলে ওঠেন, ‘তোমাদের সবার আগে হিন্দিতে কথা বলা উচিত।’
কাকার কথা শুনেই আরহান রসিকতা করে বলেন, ‘সকলে হিন্দি জানে না।’ পাশ থেকে তার আরেক বন্ধুকেও বলতে শোনা যায়, ‘হিন্দিটা খুবই খারাপ আমার।’ একথা শুনেই সালমান তাদের উপদেশ দেন, ‘এবার থেকে হিন্দিতে কথা বলা প্র্যাকটিস করো। ভুল হলে আমি ঠিক করে দেব।’
সালমানের কথা শুনে আরহান জানান, আমরা আসলে হিন্দি ক্লাস করছি, নইলে শোয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে এই ভাষা।
একথা শুনেই ক্যামেরার সামনে সালমানের ধমক, ‘হিন্দি জানো না তোমরা, লজ্জা হওয়া উচিত তোমাদের নিজেদের উপর। যারা হিন্দি ভাষায় কথা বলেন, সেইসকল দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তো শো পৌঁছে দিতে হবে তোমাদের। নাকি তোমরা নিজেদের জন্যই শোটা করছ! নিশ্চয়ই সেটা নয়।’
আরহান এবং তার বন্ধুরা এমন কথা শুনে অস্বস্তিতে পড়তেই সালমান তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এই শো থেকে অর্থ উপার্জন করার ইচ্ছে আছে তো নাকি?’
সালমানের স্পষ্ট নির্দেশ, জীবনে যা-ই হোক, পরিবারই সবার আগে। ভাইজান বলেন, সব সময়ে পরিবার ও বন্ধুদের পাশে থাকবে। এটা সারা জীবন তোমাকে করেই যেতে হবে।
৫৯ বছর বয়সে এসেও নিজেকে নানা পরামর্শ দেন অভিনেতা। একটি পরামর্শ তিনি দেন ভাতিজাকে। বলেন, আমি নিজেকে একটা পরামর্শ দেই। সেই পরামর্শই তোমাকে দেব। এই পরামর্শ শুনে হয়তো তুমি আমাকে ঘৃণা করবে। আমি নিজেকে এই পরামর্শ আরও রূঢ় ভাবে দিয়ে থাকি। জীবনে কাউকে একবার ক্ষমা করা যায়, দু’বার ক্ষমা করা যায়। তিন বার হয়ে গেলে বুঝবে, সব শেষ।