যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গত মঙ্গলবার থেকে ফের গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫০৬ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এর মধ্যে ২০০ শিশু রয়েছে। গত তিন দিনে গাজা উপত্যকায় আহত হয়েছেন আরও ৯০৯ জন। খবর আল জাজিরার
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে আজ ভোর থেকে কমপক্ষে ১১০ জন নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর গাজা থেকে ফের সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৯ হাজার ৬১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ৯৫০ জন।
যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি এখনও নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও মারা গেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশিকে বন্দি করা হয়েছিল।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফের স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তেলআবিব বলছে, ফিলিস্তিনিদের জন্য এটি ‘শেষ সতর্কবার্তা’, যাতে তারা জিম্মিদের ফেরত দেয় এবং হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানালেও তা উপেক্ষা করেই হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে ফিলিস্তিনিরা আবারও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে প্রিয়জনের মরদেহ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
ইসরায়েল যেসব এলাকাকে ‘যুদ্ধ এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে সাধারণ মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। উত্তর গাজা থেকে পালানো অনেক পরিবারকে শিশুসহ রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
গাজার বাসিন্দাদের উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এটি শেষ সতর্কবার্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে দেন এবং হামাসকে সরিয়ে দেন। তাহলে আপনাদের জন্য অন্যান্য বিকল্প উন্মুক্ত হবে– যার মধ্যে অন্য দেশে চলে যাওয়ার সুযোগও রয়েছে।