বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় নিহত আরও এক ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম জসিম উদ্দিন সরকার (৩২)।
তিনি উত্তরার আজমপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
শুক্রবার (১৬আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে জসিমের মরদেহ শনাক্ত করেন তার স্ত্রী বানেসা বেগম। তিনি বলেন, জসিম উদ্দিন আমার স্বামী।
তিনি আরও বলেন, জসিমের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর গ্রামে। বর্তমানে এক মেয়েকে নিয়ে উত্তরখান ময়নারটেক এলাকায় থাকেন। তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় আসেনি। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তার স্বামী জসিম আরও একটি বিয়ে করেছে। তার ছোট স্ত্রী নারায়ণগঞ্জে থাকে। আমরা ভেবেছিলাম জসিম তার ছোট স্ত্রীর কাছে আছে। ফোনও বন্ধ ছিল। পরে জানতে পারি জসিম ছোট স্ত্রীর কাছে নেই। গত ১৩ আগস্ট জসিমের ফোনে আবার ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি কলটি রিসিভ করেন। এবং সে বলে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু ফোনে কেউ তাকে চিনতে পারছিল না। গত আগস্ট তিনি উত্তরা আজমপুর এলাকায় বুকের বাম পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। তখন তাকে একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে ওই ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজ করে জানতে পারি জসিম মারা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আছে। আজ সকালে মর্গে এসে স্বামী জসিমের মরদেহ পাই। তার গায়ে লালশার্ট, ও নেভীব্লু জিন্স প্যান্ট ও চেহারাও কিছুটা বুঝা যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের ইনচার্জ রামু চন্দ্র দাস জানান, সহিংসতার ঘটনায় আজকে একটি মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল আল মামুন আমানতসহ (৩২) দুটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়নি এমন পাঁচটি মরদেহ মর্গে রয়েছে।