সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন, কিন্তু নোয়েল রবিনসনের ভিডিও দেখেননি— এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া একটু দুষ্করই বলা যায়। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম— জার্মান এই টিকটকার ও নৃত্যশিল্পীর ভিডিও ভাইরাল হয় প্রতিমুহূর্তেই।
সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন নোয়েল। রাজধানীর উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছেন তিনি। যেখানে ছিল সংসদ ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, লালবাগ কেল্লাসহ বিভিন্ন স্থাপনাও।
ঢাকায় নোয়েল যেখানেই পা রেখেছেন সেখানেই নেচেছেন, মাতিয়েছেন দর্শক শ্রোতাদের। তার সঙ্গে গুলশানের রাস্তায় নাচতে দেখা গেছে বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী হৃদি শেখকেও।
‘প্রেমে দিওয়ানা’ গানের তালে নেচেছেন দু’জন। এছাড়া জেফার রহমানের ‘ঝুমকা’ এবং প্রতীক ও প্রীতমের ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়া’ গানে টিকটক ও রিলস করতে দেখা গেছে এই নৃত্যশিল্পীকে।
তবে নোয়েলের সঙ্গে হৃদিকে দেখে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, তাদের মাঝে আগে থেকেই পরিচয় কিংবা কোনো সম্পর্ক ছিল না কি না?
এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হৃদি বলেন, ‘না, আগে থেকে নোয়েলের সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় ছিল না। সে বাংলাদেশে এসেছে শুনে, আমি তাকে একটি মেসেজে স্বাগতম জানিয়েছিলাম। এরপর সে মেসেজের রিপ্লাই দিলে, তার সঙ্গে কথা হয়।’
হৃদি আরও বলেন, ‘নোয়েল যখন বিমানে বাংলাদেশে আসছিলেন, তখনই এদেশের সংস্কৃতি ও নৃত্যশিল্পীদের সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। সেখানে বিমানে বসেই সে আমার সম্পর্কে জানতে পারে। এরপর ঢাকায় আসলে আমাদের দেখা হয়।’
বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে ভিডিও তৈরি করেন নোয়েল রবিনসন। বাংলাদেশে ছাড়াও অন্য দেশগুলোতেও একই ভূমিকায় দেখা গেছে তাকে। চলতি পথে মানুষদের সামনে নেচে তাদেরকে অবাক করতেও জুড়ি নেই তার।
২৩ বছর বয়সী নোয়েল রবিনসনের জন্ম জার্মানির বার্লিনে। নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভূত নোয়েল ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আপলোড শুরু করেন। এখন শুধু ইউটিউবেই তার ১৭ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার। সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার তার টিকটকে, ৪১ মিলিয়নের বেশি। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকেও তার অসংখ্য ফলোয়ার রয়েছে।
বিভিন্ন দেশে রাস্তা, ক্যাফে, রেস্টুরেন্ট, বাস, ট্রেন ও শপিং মলে গিয়ে নাচের ভিডিও করে আপলোড করেন তিনি। তুরস্ক, নাইজেরিয়া, ভারত, মিসর, উগান্ডা, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কোসহ অনেক দেশেই গেছেন তিনি। তবে ভ্রমণ করা দেশগুলোর মধ্যে নোয়েলের পছন্দ ব্রাজিল।