শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
ড. ইউনূসকে বিচারিক হয়রানির যে অভিযোগ উঠেছে, মূলত সেটার বিরুদ্ধেই প্রয়োজনের সময়ে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আগে টুইটার নামে পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় হিলারি একথা বলেন।
ওই বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মানবতাবাদী এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে তার প্রয়োজনের মুহূর্তে সমর্থন করার জন্য আমার এবং অন্যান্য আরও ১৬০ জনেরও বেশি বিশ্ব নেতার পাশে এসে দাঁড়ান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে যোগ দিন।’
এসময় প্রোটেক্ট ইউনূস (#protectyunus) হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন তিনি।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করা এবং বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি দেন ১৭৫ জন বৈশ্বিক নেতা।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তা, ইরানের শিরিন এবাদি, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসনও রয়েছেন।
সোমবার প্রকাশিত সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর বিষয়ে তারা শঙ্কিত এবং এর মাধ্যমে তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, অধ্যাপক ইউনূস ধারাবাহিক বিচারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
এছাড়া গত ২৭ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তার একদিন পরই ১৭৫ বিশ্বনেতার চিঠি নিয়ে ফের আলোচনায় উঠে এলো ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন।
এর আগে চলতি বছর মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো ড. ইউনূসের ‘নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছিলেন ৪০ জন বিশ্বনেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপা হয়েছিল সেই চিঠিটি।
পিএসএন/এমঅাই