বেশ কয়েক দিন ধরে বাজারে ডিম সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এতে ডিমের ডজন ১৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। ডিমের দাম কবে কমবে এমন প্রশ্নের মুখে পড়েন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ‘কতদিনের মধ্যে কমতে পারে’ সাংবাদিকের এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা স্বস্তি পাবেন, অধৈর্য হবেন না।’‘বাজারে জিনিসপত্রের দাম অনেক’ সাংবাদিকের এ প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি ১ শতাংশ কমেছে। দ্রব্যমূল্য কমাতে একটু সময় লাগবে। এরই মধ্যে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। তেলের ওপর শুল্ক কমিয়েছি। আজকে চিনির ওপর শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। আজকে মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হলো। এলএনজি আমদানি, কৃষির সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন।কতদিনের মধ্যে স্বস্তি পাওয়া যাবে? এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বস্তি পাবেন। আপনারা অধৈর্য হবেন না। এ জিনিসটা কিন্তু অনেক জটিল। মনে করেন না মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। এটার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর আছে।’ এখানে বাজারের ফ্যাক্টর আছে। বাজারে মনিটরিংয়ের ফ্যাক্টর আছে। পণ্য উৎপাদন, পণ্য বিপণন। উৎপাদন করলেও সেটা বিপণনের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার আছে। অনেক জায়গায় পুরানো লোকজন চলে গেছে, নতুন লোকজন আবার…।’
আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না কেন? এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজি কমেনি, তা নয়। চাঁদাবাজি কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাত বদল হওয়াটা এই মুহূর্তে কমেছে তা নয়।’
উল্লেখ্য, ডিমের দাম কমাতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি আমদানির ওপর থাকা শুল্ককর সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সীমিত সময়ের জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে দৈনিক প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিম আমদানি করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।