কানাডার পণ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এক মাসের জন্য স্থগিতের পর ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট স্টারলিংকের সঙ্গে ১০ কোটি ডলারের চুক্তি বাতিলের হুমকি থেকেও সরে এসেছে দেশটির অন্টারিও প্রদেশ।
এর আগে অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড বলেছেন, ট্রাম্পের ‘প্রথম বন্ধু’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা ডিওজিই প্রধানের সঙ্গে জড়িত চুক্তিটি ‘ছুড়ে ফেলা’ হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার প্রধানের স্ত্রী ‘ফার্স্ট লেডি’ বলে পরিচিত হন। তার অনুসরণেই সাম্প্রতিক খাতির বিবেচনায় ইলন মাস্ককে প্রেসিডেন্টের ফার্স্ট ফ্রেন্ড বলে অভিহিত করছে মিডিয়া।
ফোর্ড এক এক্স বার্তায় লেখেন, “আমাদের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চায় এমন মানুষদের সঙ্গে ব্যবসা করবে না অন্টারিও। আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই লড়াই কানাডা শুরু করেনি। তবে আপনার বোঝা উচিৎ, এতে জয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত”।
“এজন্য দায়ী কেবল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প,” সতর্ক করে বলেছেন তিনি।
তবে শুরু থেকেই চুক্তিটি হারানোর বিষয়ে মাস্ক উদ্বিগ্ন ছিলেন না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। ফোর্ডের পোস্টের জবাবে মাস্ক নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেবল লিখেছেন, “ওহ আচ্ছা!”
এ চুক্তিটি শুরু হয়েছিল গত বছর। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য স্টারলিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পায়নি ইন্ডিপেনডেন্ট।
এদিকে, সোমবার কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘সফল আলোচনা’ হয়েছে এবং দেশটির ওপর পরিকল্পিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে না ট্রাম্প প্রশাসন।
এ ছাড়াও, জরিমানা এড়াতে কানাডা ১৩০ কোটি ডলারের সীমান্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং অবৈধ মাদক ও অভিবাসন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রে সীমান্তে ১০ হাজার ফ্রন্টলাইন কর্মী মোতায়েনের প্রতিশ্রুতি দেবে বলেও জানান ট্রুডো।
ট্রাম্পের এই স্থগিতাদেশকে ‘সুখবর’ হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন ফোর্ড।
তার অফিস ‘কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন’কে বলেছে, স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে সরে আসছে তারা।
তবে কানাডার ওপর শুল্ক কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দরজা খোলা রেখেছেন কানাডিয়ান এ নেতা।