বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে বড় এক সুখবর দিল আইসিসি। এখন থেকে টেস্ট খেলতে পারবেন সালমা খাতুন-জাহানারা আলমরা। আইসিসির এক বৈঠকে পূর্ণ সদস্য দেশের নারী দলকে টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দল টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে ২০০০ সালে। প্রায় দুই দশক পার করে নারীরাও ক্রিকেটের কুলীন ফরমেটে নাম লেখালো। বৃহস্পতিবার আইসিসি এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে এই খবর।
২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে ওয়ানডে স্ট্যাটাস লাভ করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। সাত বছরের মাথায় এসে জেতে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট।
২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় টি-টোয়েন্টি ফরমেটের টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা উৎসবে মাতেন সালমা-জাহানারারা। এবার শুধু ওয়ানডে-টি টোয়েন্টিতে আটকে থাকা নয়, টেস্টও খেলবে বাংলাদেশের নারীরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নারী ক্রিকেট সেকশনের প্রধান শফিউল হক চৌধুরী নাদেল জানান, ‘এখন থেকে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের টেস্ট খেলতে আর কোনো বাধা নেই। বাকি দলগুলোর মতো এখন থেকে আমরা তিন ফরম্যাটেই খেলার জন্য দল তৈরি করব।’
এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলে বিশ্বের দশটি নারী ক্রিকেট দল। দলগুলো হলো-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ড। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ডসই কেবল আইসিসির সহযোগী সদস্য হয়েও টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে।
নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড (৯৫)। ৭৪ টেস্ট খেলে দ্বিতীয় অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া নিউজিল্যান্ড (৪৫), ভারত (৩৬), দক্ষিণ আফ্রিকা (১২) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১২) দশটির বেশি টেস্ট খেলেছে। পাকিস্তান খেলেছে ৩টি, শ্রীলঙ্কা মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ।