সিটির হারের বৃত্তে আটকে যাওয়ার শুরুটা হয়েছে গত ৩০ অক্টোবর টটেনহামের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। লিগ কাপে সেই হারের পর, প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ম্যাচে বোর্নমাউথ, ব্রাইটন ও টটেনহ্যামের বিপক্ষে হারে তারা, একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষেও হেরেছে দলটি। লিগে টানা তিন ম্যাচ হারা সিটি জয়ের দেখা খুঁজে পেতে গতকাল মাঠে নেমেছিল লিভারপুলের বিপক্ষে। তবে শেষ হাসি হাসতে পারেনি গার্দিওলার শিষ্যরা, বরং ২-০ গোলে হেরে হতাশার পালা দীর্ঘ হয়েছে আরও।
লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে গতকাল মাঠে নেমেছিল ম্যানসিটি। নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে এবারের মৌসুমের শুরু থেকেই উড়ছে অলরেডরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে শীর্ষ স্থান নিশ্চিত করে গতকাল তারা মাঠে নেমেছিল সিটির বিপক্ষে।
অন্য সময় হলে এ দুই দলের ম্যাচে কে জিতবে তা বলা মুশকিলই ছিল। তবে গত মাসখানেক ধরে ম্যানসিটির যে তথৈবচ অবস্থা তা দেখে বলাই যায় যে, গতকালের ম্যাচে ফেভারিট ছিল লিভারপুলই। ম্যাচ শেষেও তাই প্রমাণিত হয়েছে।
প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে আশানরূপ পারফর্ম করতে পারেনি গার্দিওলার শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছে স্লটের শিষ্যরা। অলরেডদের একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে সিটির রক্ষণকে। তুমুল আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ম্যাচের শুরুতেই এগিয়েও যায় লিভারপুল।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই অলরেডদের এগিয়ে দেন কোডি গাকপো। মোহামেদ সালাহর বাড়িয়ে দেয়া বল সুবিধাজনক জায়গায় পেয়ে সহজেই গোল করেন গাকপো। লিড নেয়ার পরও আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলেছে অলরেডরা। তবে প্রথমার্ধে আর গোলের দেখা পায়নি দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকেই আক্রমণ করেছে লিভারপুল। তবে একের পর এক আক্রমণ করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। অবশেষে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় লিভারপুল। বক্সের ভেতরে লুইস দিয়াজকে ফাউল করে বসেন সিটি গোলরক্ষক ওররতেগা। তাতে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। আর স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সালাহ। এরপর শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।
এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনা, তিনে থাকা চেলসির পয়েন্টও ২৫, আর ১৩ ম্যাচে ২৩ পএয়ন্ট নিয়ে সিটি আছে তালিকার পাঁচে।