জ্বালানি ও খাদ্যের দাম কমানোসহ দশ দফা দাবিতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে চলছে বিক্ষোভ। আদিবাসী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ ক্রমেই দেশটির রক্ষণশীল রাষ্ট্রপতি গুইলারমো ল্যাসোর ক্ষমতাকে টালমাটাল করে তুলছে।
চলমান বিক্ষোভ দেশটির জাতীয় পরিষদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সম্পর্ককে আরও সংকটপূর্ণ করে তুলেছে। এবার ল্যাসোর পদত্যাগ দাবি করে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন ইকুয়েডরের বিরোধী আইন প্রণেতাদের একটি দল।
ইকুয়েডরের বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতাদের জোট ইউএনইএস রাষ্ট্রপতি ল্যাসোকে আগাম নির্বাচন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে। নিজেদের টুইটার একাউন্ট থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ নির্বাচনের আহ্বান জানান তারা।
ইউএনইএসের আইনপ্রণেতা ফাস্টো জারিন বলেন, ‘‘দেশ এটা আর নিতে পারছে না।’’ আনুষ্ঠানিকভাবে আইনসভাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক আহ্বান তিনি।
জারিনের দাবি অন্যান্য দলের আইনপ্রণেতারা স্বতন্ত্রভাবে এ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবেন। রাষ্ট্রপতি ল্যাসোকে অপসারণে বিধানসভার ১৩৭ জন আইন প্রণেতার মধ্যে ৯২ জনের সমর্থন প্রয়োজন।
তবে ইউএনইএস জোটের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ল্যাসো সরকার। সরকার জানায় তারা বিক্ষোভরতদের সঙ্গে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক।
গত বছর অক্টোবরে ক্ষমতা গ্রহণের পর পেট্রল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো। এরপরই দেশটির কৃষি অর্থনীতি নির্ভরশীল আদিবাসীরা এর বিরোধিতা শুরু করেন।
এরপর একাধিকবার আদিবাসীদের সঙ্গে সরকারের একাধিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আদিবাসী নেতারা বলছেন, সরকার তাদের উদ্বেগের কথা শুনছে না।
গত ১৩ জুন থেকে ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন দেশটির আদিবাসী এবং সামাজিক সংগঠনগুলো। বিক্ষোভরত আদিবাসী এবং সামাজিক সংগঠনগুলোর দাবির মধ্যে রয়েছে- ছোট কৃষকদের জন্য ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি, কম দামে পেট্রল বিক্রি এবং অতিরিক্ত তেল ও খনিজ উত্তোলন সীমিতকরণ ইত্যাদি।
সূত্র: রয়টার্স