পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে পিছু হটতে হল সরকারকে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি আরও এক দফা বাড়ানো হল।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহামারীকালে চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
১৩ জুন অর্থাৎ সোমবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলার যে আশা শিক্ষামন্ত্রী করেছিলেন, এর মধ্য দিয়ে তা তিরোহিত হল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শ করে দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাগুলোর চলমান ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
সরকার কয়েক দফা পরিকল্পনা করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়ছে।
গত ২৬ মে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ১৩ জুন স্কুল-কলেজে সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম চালুর আশা প্রকাশ করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ‘মহামারী পরিস্থিতি খুব বেশি প্রতিকূল না হলে’ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানানোর পাশাপাশি দুই মাসের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সরকারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে করোনাভাইরাসের ভারতে উদ্ভূত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের স্থানীয় সংক্রমণ ঘটার পর গত দুই সপ্তাহে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোসহ পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন অঞ্চলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় এবং কোনো কোনো অঞ্চলে আংশিকভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকর থাকায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় ছুটি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের মহামারীকালের চলমান ছুটিও ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়েছে।
শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা যেন বাসায় অবস্থান করে, সেটি স্থানীয় প্রশাসনকে পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।