দুর্নীতির দায়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার হিথ স্ট্রিক। বুধবার (১৪ এপ্রিল) তাকে এ শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
স্ট্রিকের এই শাস্তির ঘটনাকে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্ধকারতম দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান তাবেঙয়া মুকুহলানি। দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে বিবেচিত স্ট্রিকের এমন কাজে মর্মাহত ও বিব্রত তিনি।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে চেয়ারম্যান তাবেঙয়া মুকুহলানি বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক অধ্যায়। যা ইতিহাসে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে অন্ধকার দিন হিসেবে জায়গা করে নিতে পারে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘স্ট্রিক ছিলেন অনেকের খুব পছন্দের একজন ব্যক্তি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আদর্শ। কিন্তু এখন আমরা ও সারা বিশ্ব জানে, স্ট্রিক দুর্নীতিগ্রস্ত, লোভী ও স্বার্থপর চরিত্রেরও ছিলেন। যিনি তার মর্যাদা ও অবস্থানের অপব্যবহার করেছেন নোংরা সুবিধার জন্য।
উল্লেখ্য, আইসিসির এন্টি-করাপশন কোডের পাঁচটি ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন স্ট্রিক, স্বীকার করে নিয়েছেন নিজের সব অপরাধ। সেই স্বীকারোক্তির পর তাকে এমন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি।
পাঁচটি ধারা ভঙ্গের মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজ, একই বছরের জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, আইপিল এবং আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের তথ্য বাইরে পাচারের মতো অপরাধ।
আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিটিকে জুয়ারির প্রস্তাবের বিষয়ে না জানানো, তদন্ত কাজে অসহযোগিতা, জুয়ারির কাছ থেকে কোনো উপঢৌকন নিয়ে বিনিময়ে তথ্য দেয়াসহ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে আইসিসি।
২০১৭ সালের বিপিএল, ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগ, ২০১৮ সালের আইপিএল এবং এপিএলে জুয়ারির এসব প্রস্তাব পেয়েও গোপন অথবা তাদের সহযোগিতা করেন স্ট্রিক।