হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেয়েছেন কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। আগামী তিন মাসের জন্য তাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেজবাহ। এর আগে ৮ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন আবেদন করেন শমী কায়সার।
গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ। শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীও ছিলেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানার চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন শমী। তার বাবার নাম শহীদুল্লাহ কায়সার ও মাতার নাম পান্না কায়সার। তার মা পান্না একজন লেখিকা এবং সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরীর স্ত্রী মায়া পান্নার বোন। সে হিসেবে শমী কায়সার এবং রাজনীতিক মাহি বি চৌধুরী খালাতো ভাই-বোন।