জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে ১২টি বিভাগে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।
এবার বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ হয়েছিল আগেই। বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, অভিনেত্রী, খল অভিনেতা, পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা-অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, সংগীতশিল্পী (নারী-পুরুষ), শ্রেষ্ঠ গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালকসহ মোট ২৭টি বিভাগে দেওয়া হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০০৯ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে আজীবন সম্মাননা ক্যাটাগরি। তবে এত এত পুরস্কারের মাঝেও অনেকে পুরস্কার প্রত্যাখানও করে এসেছেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রত্যাখানের এই ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। শুরুটা হয়েছিল শাবানার মাধ্যমে। ১৯৭৭ সালে ‘জননী’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন শাবানা। তিনি তা গ্রহণ করেননি। ১৯৮২ সালে শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। ‘নতুন বউ’ সিনেমার জন্য ১৯৮৩ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা।
গোলাম মুস্তফাও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ১৯৯০ সালে। ২০১৬ সালে হাবিব শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক, ২০১৮ সালে মোশাররফ করিম শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করেননি। যদিও এবার জাতীয় পুরস্কার প্রত্যাখানের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
পিএসএন/এমঅাই