জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ এপ্রিল) জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশনের (সিএনডি) সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সহযোগী সংস্থা সিএনডির এই নতুন পরিষদ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্বভার গ্রহণ করবে।
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রত্যক্ষ ভোটে বুধবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং ইরান এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, সিএনডির এই নির্বাচনটি ছিলো অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে (৪৩ ভোট)। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যার সব দিকের প্রতি বাংলাদেশ সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরও বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।
এছাড়া ইকোসক ব্যবস্থাপনা সভায় ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বোর্ডে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছে। নতুন এই বোর্ড দুটি জানুয়ারি ২০২২ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে। বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ড দুটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা দুটির মূল পরিচালনা পর্যদ।