শিশু সুমাইয়া খাতুন। বয়স প্রায় ৭ বছর। জন্মের পর হারিয়ে ফেলে মানসিক ভারসাম্য। বয়স যতই বাড়ছে, ততই সমস্যাও বাড়ছে। তাকে নিয়ে চরমে উঠেছে বাবা-মার দুর্ভোগ। শিশুটির চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব হতে বসছে পরিবারটি। অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা। মেয়েটিকে সুস্থ করতে সবার সহযোগিতার আকুতি জানিয়েছে পিতা সোয়েব আলী।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শিশু সুমাইয়া কখনো বাবাকে মারছে, আবার কখনো লাঠি হাতে ঘরের বেড়ায় পিটাচ্ছে। এসময় বাবা সোয়েব আলী তাকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন।
জানা যায়, সোয়েব আলী একজন দিনমজুর। অন্যের বাড়িতে শ্রম বিক্রি করে কোনোমতে জীবিকা নির্বাহ করেন। এরই মধ্যে জন্ম হয় সুমাইয়ার। জন্মের বছর খানেক পর দেখা যায় মানসিক ভারসাম্যের সমস্যা। অবশেষে এই মেয়েকে সুস্থ করতে শুরু হয় চিকিৎসাসেবা। একদিকে সংসারে নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা। অন্যদিকে মেয়ের দীর্ঘ চিকিৎসারে ব্য়য় মেটাতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুমাইয়ার ভালো চিকিৎসা করাতে হবে। তার জন্য প্রায় অনেক টাকার প্রয়োজন।
ইতিমধ্যেই সন্তানের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে বেশ কিছু টাকা জোগাড় করে খরচ করেছেন। তার পক্ষে সন্তানের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন ওষুধ কেনাসহ সুমাইয়া চিকিৎসায় খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার পরিবারের।
সোয়েব আলী বলেন, একদিন কাজ না করলে সংসার চলে না। এরমধ্যে সন্তানের ওষুধ কেনা ও চিকিৎসার খরচ যোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেয়ের চিকিৎসার খরচ চালানো আমার পক্ষে দুঃস্বপ্নের মতো।
তিনি আরও বলেন, এখন আমার মেয়েটিকে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মেয়েটিকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাকে সহযোগিতা করতে সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য চাই।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন জানান, সুমাইয়ার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তার পরিবারকে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
পি এস / এন আই