খুলনা সিটি কর্পোরেশ নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক বলেছেন, খুলনার মানুষ আর কোনো কথা শুনতে চায় না। তারা টেবিল ঘড়ি মার্কায় আস্থাশীল। নিকট অতীত ও দূর অতীতের ব্যক্তিরা খুলনাকে সাজাতে ব্যর্থ হয়েছে। খুলনা এখন আস্তে আস্তে বসবাসের অযোগ্য শহরে পরিণত হয়েছে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে খুলনা এখন জনভোগান্তির শহরে রূপ নিচ্ছে। এখনই পরিবর্তন না হলে এই শহর হবে আগামী প্রজন্মের জন্য অভিশপ্ত শহর। আবার কেউ কেউ চটকদার কথা বললেও তাদের কর্মকান্ড ইতোমধ্যে নগরবাসী জেনে গেছে। খুলনার ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ এবার আর ভুল করবে না। তাদেরকে বার বার ধোকা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা তাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। নতুন ভোটাররা এবার ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং টেবিল প্রতীকে জীবনের প্রথম ভোট দিয়ে তারাই খুলনার নগর পিতা নির্ধারণ করবে।
শুক্রবার সকালে তিনি নগরীর ৭নং ঘাট, দৌলতপুর পাবলা সবুজ সংঘ এলাকা এবং সন্ধ্যায় নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্থানে নির্বাচনী প্রচারণায় একথা বলেন।
তিনি সকল ভোটারদের বলেন, “আমাকে সুযোগ দিন আমি বদলে দেবো“। আগামী ১২ জুন সারাদিন ভোট হবে টেবিল প্রতীকের। টেবিল ঘড়ি হলো খুলনাবাসীর প্রতিবাদ ও পরিবর্তনের প্রতীক। কেননা এবার নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন প্রতিজ্ঞা করেছে এ রাষ্ট্রের নাগরিকের ভোট নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। তাই ভোটারদের শঙ্কা কেটে গেছে। তারা সাহস নিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হলে বদলে যাবে পরিস্থিতি। আর সেই বদলে দেওয়ার ইতিহাস গড়বে এবার খুলনাবাসী।