খুলনার কয়রায় জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করানোর সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়েন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করানো থেকে বিরত থাকতে এবং অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যেতে বলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান। শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে আলোচনা সভায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস পালন উপলক্ষে র্যালি শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত যুব সমাজকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম মাইক্রোফোন ধরলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বিরোধিতা করেন। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতেও বলেন তিনি। পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মওলা বক্স শপথ বাক্য পাঠ করান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কয়রা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, ওই যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য নিবন্ধিত যুব সংগঠনের যুবকদের নিয়ে সভাও করেছিলেন তিনি। আজ যুব দিবসে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করালে শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। এ জন্য তাঁর শপথ বাক্য পাঠের সময় তিনি বিরোধিতা করেছেন। তাঁর অপসারণ দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কয়রা উপজেলা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা জি এম মওলা বক্স বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের দোসররা এখনও বিভিন্ন দপ্তরে সক্রিয় রয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বিরোধিতা করেছেন। তাঁকে যুব দিবসে শপথ বাক্য পাঠ করানো থেকে বিরত থাকতে বলেন ছাত্ররা। এ সময় তাঁকে (জি এম মওলা) সে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী আমাকে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বাধা দিলে আমি অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে আসি। পরে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শপথ পড়িয়েছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুলি বিশ্বাস। তিনি বলেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে তিনি বক্তব্য শেষে চলে আসেন। পরে সেখানে কী ঘটেছে, তাঁর জানা নেই।
Leave a comment