ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দারুণ অভিজ্ঞতা আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে জাকের আলীর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরেছেন এই টাইগার ব্যাটার। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ফিরেছেন তিনি, যা এবার কাজে লাগাতে চান আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চার ম্যাচে মাত্র ৩৫ রান করেছিলেন জাকের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে চার ইনিংসে করেছেন ১৭৬ রান, যেখানে একটি ৯১ রানের ইনিংসও রয়েছে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে মাত্র ৩৮ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন, ফলে হোয়াইটওয়াশ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাকের বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমার আগের কোনো ভালো স্মৃতি ছিল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে না পারায় হতাশ ছিলাম। তবে জানতাম, বছর শেষে সেখানে আবার সফর আছে। তাই নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছি এবং আত্মবিশ্বাস নিয়েই খেলেছি।’
ক্যারিবীয় কন্ডিশনের বিশেষত্ব এবার আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। বাতাসের বিপরীতে ব্যাটিং করাটা যে কঠিন, সেটি আগের সফরে বুঝতে পারেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, “বিশ্বকাপে ভেবেছিলাম, যেভাবে পারি মারব। তবে এবার পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি, কারণ বাতাসের বিপরীতে বল দূরত্ব পায় না। তাই স্ট্রোক প্লেসমেন্টে বেশি মনোযোগ দিয়েছি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে দুইটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, যা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত জাকের। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। তবে শুধু উইকেট ভালো হলেই হবে না, সঠিক পরিকল্পনা দরকার। ওয়ানডে ক্রিকেটে কখন রান বাড়াতে হবে, কখন গতি কমাতে হবে—এসব বুঝতে হবে।’
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে শুরুতেই মোকাবিলা করা দলের জন্য ইতিবাচক মনে করছেন জাকের। তিনি বলেন, “টুর্নামেন্টের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচটিই আমাদের প্রথম। তবে যদি এই ম্যাচে ভালো করতে পারি, তাহলে পুরো টুর্নামেন্ট আমাদের অনুকূলে আসবে।”
নতুন হেড কোচ ফিল সিমন্সের প্রশংসা করতেও ভোলেননি জাকের। তার মতে, ‘তিনি খুব নিরিবিলি মানুষ। মাঠে আমাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেন, যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আগে পরিকল্পনা ঠিক করে দেন, পরে আমাদের মতো করে খেলতে দেন। এমনকি অনুশীলনেও সবকিছু পর্যবেক্ষণ করেন, যা আমাদের জন্য সহায়ক।’