ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরের শুরুটা দুর্দান্ত করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। এখনও পর্যন্ত চারটি দল খেলেছে দুইটি করে ম্যাচ। দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পাওয়া একমাত্র দল ব্যাঙ্গালুরু। যার ফলে পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে বিরাট কোহলির দল।
বুধবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৬ রানের অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। নিজেরা মাত্র ১৪৯ রান করেও, হায়দরাবাদকে ১৪৩ রানে আটকে দিয়েছে কোহলির দল। শেষ চার ওভারে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে এ দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু।
তবে এ জয়ের পর ম্যাচ রেফারির কাছে গিয়ে তিরস্কৃত হতে হয়েছে ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলিকে। এতে অবশ্য তার দলের কোনো দায় নেই। পুরোপুরি ব্যক্তিগত দোষের কারণেই আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে কোহলিকে।
খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি ভেঙ্গালিল নারায়ণ কুট্টি এ সিদ্ধান্ত নেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় আইপিএল সংবিধানের ২.২ অনুচ্ছেদের আইন ভঙ্গ করার। যেখানে লেভেল-১ মাত্রার আইন ভঙ্গ করেছেন কোহলি। এর দায়ে তিরস্কৃত করা হলেও কোনো জরিমানা গুনতে হয়নি ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ককে।
ম্যাচে নিজেদের ইনিংসের ১৩তম ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে বিজয় শংকরের ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৩ রান করা কোহলি। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, আউট হয়ে ফেরার সময় বাউন্ডারি দড়ির কুশন এবং ডাগআউটের চেয়ারে লাথি মেরেছেন কোহলি।
আইপিএলের নিয়ম-নীতির মধ্যে সরাসরি উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ ডে’তে ক্রিকেটীয় কোনো সরঞ্জামের ওপর নিজের রাগ-ক্ষোভ প্রকাশ করা যাবে না। তাই কোহলিকে তিরস্কৃত করা হয়েছে। লেভেল-১ অপরাধ হওয়ার ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই এখানে চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আসরে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে একই অপরাধে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা গুনেছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর।