ভালো মতো চুল পরিষ্কারের জন্য হয়ত সপ্তাহে একদিন রাখা হয়। তবে এমনও হতে পারে ওই একদিনে তেমনভাবে চুল পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
তাছাড়া এলাকা, আবহাওয়া, দূষণ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করবে সপ্তাহে কয়দিন নিয়মিত ভালো মতো চুল পরিষ্কার করা উচিত।
আর ঠিক মতো পরিষ্কার না হলে নানান লক্ষণও ফুটে উঠবে মাথায়।
আঠালোভাব
চুলের তেল দেওয়া হোক বা না হোক, নিয়মিত মাথায় ‘সিবাম’ বা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন হতেই থাকে।
“যখন ঠিক মতো ধোয় না হয় তখন তেল জমতে থাকে” বলেন নিউ ইয়র্ক সিটি ভিত্তিক চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ হ্যাডলি কিং।
“তেল জমার কারণে চুলে আঠালো ভাব হয়, অপরিষ্কার জনিত গন্ধ সৃষ্টি করে” রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন তিনি।
মাথার ত্বকে চুলকানি
তেল জমার কারণে শুধু আঠালোভাব নয়, ‘স্ক্যাল্প’ বা মাথার ত্বকে চুলকানিও তৈরি করবে। সেখান থেকে জ্বালাভাবও হতে পারে।
“যদিও ‘সিবাম’ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। তবে এতে ময়লা আটকায়। যা ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাস ও ইস্ট জন্মানোর পরিবেশ তৈরি করে। ফলে চুলকানি দেখা দেয়” একই প্রতিবেদনে বলেন আরেক মার্কিন চিকিৎসক ডা. জোডি লিজার্ফো।
আঁশ ওঠা বা খুশকি
মাথার ত্বক থেকে আঁশের মতো ক্ষুদ্র কণা উঠে আসে। এতেও চুলকানি হয়।
“নিয়মিত চুল মাথা ভালো মতো পরিষ্কার না করলে এই সমস্যা দেখা দেয়”- বলেন ডা. কিং।
এছাড়া খুশকিও হয়। আর ‘অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু’ ব্যবহার করে এর থেকে সমাধান মিলবে।
যে কোনো সমস্যা বাড়াতে পারে
চুল ভালো কম ধোয়া হলে আগের কোনো সমস্যা থাকলে, সেগুলো বেড়ে যেতে পারে।
ডা. কিং বলেন, “যেমন- ‘সেবোরিয়েক ডার্মাটাইটিস’ বা চুলকানিযুক্ত মাথার ত্বক’য়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে চুল কম ধোয়া হলে।”
প্রসাধনী জমা
চুলে নানান ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার রা হয়। সেটা হতে পারে- শ্যাম্পু, স্টাইলিং জেল, ক্রিম, তেল ইত্যাদি।
এসব ভালো মতো পরিষ্কার না করলে চুলে ও মাথার ত্বকে জমে আঠালোভাব তৈরি করে। যা মাথার জন্য ক্ষতিকর।
তাই এরকম দেখা গেলে বুঝতে হবে, চুল ভালোমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে না।
স্বাভাবিকের চাইতে বেশি চুল পড়া
অবাক করার মতো বিষয় হলেও এটা সত্যি। ভালোমতো নিয়মিত কেশ ও মাথা পরিষ্কার না করলে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে।
ডা. কিং বলেন, “দূষণ, তেল, ময়লা জমা ইত্যাদির কারণে যে প্রদাহ তৈরি হয়, সেখান থেকেই চুল পড়ার পরিমাণ বাড়ে।”
চুল দেখতে মলিন ও সমতল লাগা
লিজার্ফো বলেন, “অনেক প্রসাধনীতে সিলিকন-সহ নানান উপাদান থাকে যা চুল ও মাথার ত্বকে এটে থাকে। যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা না হয়, তবে এসব পণ্য লেগে থাকার কারণে চুল লেপটে থাকে ও মলিন দেখায়।”
নিজেই পরিতৃপ্ত না হওয়া
“নিজের কাছেই যদি মনে হয় চুল মাথা ভালো মতো পরিষ্কার হল না, তবে সেটা মতো ভালো লক্ষণ আর কী হতে পারে”- মন্তব্য করেন ডা. কিং।
তিনি বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ হল শারীরিক বোধ। ভালো মতো চুল-মাথা এমনকি দেহ পরিষ্কার রাখলে মনে ও দেহে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। যা নিজস্ব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার লক্ষণ।”
তাই যে কোনো সময় যদি মনে হয়, ভালো মতো চুল ও মাথা পরিষ্কার করা হচ্ছে না তবে সেই অনুভূতি থেকেই ভালো মতো পরিষ্কারের দিকে নজর দিতে হবে।