চীনে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের পর গত পাঁচ সপ্তাহে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৬০ হাজার মানুষের। ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে এত মৃত্যু ঘটে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) এক ঘোষণায় এত মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে চীন সরকার। গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে , প্রথমবারের মতো করোনায় আক্রান্ত নাগরিকদের মৃত্যুর তথ্য জানালো চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, গত ৫ সপ্তাহে বেইজিংসহ একাধিক বড় শহরে ব্যাপক সংক্রমণ ছড়ায়। এ সময় যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ৮০ দশমিক ৩ বছর।
৯০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। মারা গেছেন ৫৯ হাজার ৯৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ হাজার ৫০৩ জন।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের চিকিৎসা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক জিয়াও ইয়াহুই জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলোতে এক মাসের কিছু সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণজনিত জটিলতায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ তালিকায় করোনায় আক্রান্তের সঙ্গে ক্যানসার বা কার্ডিও ভাসকুলার জাতীয় রোগে আক্রান্ত মানুষও ছিলেন।
গত ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছিল পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল পুরো দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৪ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে কঠোর নিয়ম মেনে আসা হচ্ছিল চীনে। শি জিনপিংয়ের সরকার আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে আনতে কঠোরতা অবলম্বন করে। কিছুটা সহনশীল পর্যায়ে সংক্রমণ নেমে এলে বিধি নিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ জনগণ। পরে গত বছর ডিসেম্বরে এ নীতি থেকে সরে আসে সরকার।
এদিকে, নতুন সপ্তাহে চীনে পালিত হবে চান্দ্র নববর্ষ। এ উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে দেশে ফিরছেন প্রবাসী বহু চীনা নাগরিক। এ সময় করোনার সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
পিএসএন/এমঅাই