বাগেরহাটের চিতলমারীতে মানসিক ভারসাম্যহীন (২৫) এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার (০৫) জুন ওই নারীর মামা বাদী হয়ে থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতর অভিযোগে মাহেন্দ্র চালক সোহেল শেখ (৩০) ও চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী আশিস ঢালীকে (২৭) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত সোহেল শেখ আড়–য়াবর্ণী চরপাড়া গ্রামের কেরামত শেখের ছেলে ও আশিস ঢালী রুইয়ারকুল গ্রামের অনুকুল ঢালীর ছেলে। পুলিশ ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী গত ১ জুন বিকাল ৪ টার দিকে স্বামীর বাড়ি হতে মামার বাড়ী উদ্দেশ্যে রওনা হন। কাছে টাকা না থাকায় সে বাখরগঞ্জ বাজার স্ট্যান্ডে গিয়ে মাহেন্দ্র চালক সোহেল শেখকে মামার বাড়ীতে পৌছানোর অনুরোধ করেন। সোহেল তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি পর রাত ৮ টার দিকে চিতলমারী বাজারের রবিউলের খাবার হোটেলে নিয়ে খাবার খায়। খাবার শেষে সোহেল শেখ তাকে নিয়ে রুইয়ারকুল গ্রামের গোবিন্দ বিশ্বাসের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে রাখে। এরপর গোবিন্দ বিশ্বাস ও সোহেল শেখ অন্যান্য সকল অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে রুইয়ারকুল গ্রামের পশ্চিমপাড়া দুর্গা মন্দিরের পিছনে দেবাশীষ বিশ্বাসের মাছের ঘেরে যেতে বলে। এ সময় সময় গোবিন্দ ও সোহেলসহ অন্যরা সবাই মিলে রাত ১০ টার দিকে ওই নারীকে দেবাশীষের মাছের ঘেরের মাটিতে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষনের ফলে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা ঘটনাস্থলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন ২ জুন সকাল ৯ টার দিকে জনৈক সুরজিত মৃধা মাঠে ঘাস কাটতে গেলে ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় অজ্ঞান পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে আসে। তারা ওই নারীকে উদ্ধার করে তার মামার বাড়ীতে পৌছে দেন। এ ঘটনায় ওই নারীর মামা সোমবার (০৫) জুন ৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় (৩ নং) মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার দুই আসামী মাহেন্দ্র চালক সোহেল শেখ ও আশীষ ঢালীকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।