জিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসায় দেশে তৈরি মলনুপিরাভির ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন এই পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করেন।
ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউই) দিয়েছে। ওষুধটি ব্যবহারের ব্যাপারে ন্যাশনাল গাইডলাইন কমিটি বৈঠক করে সঠিক নির্দেশনা প্রদান করবে। এর আগে নতুন ওষুধটি (এন্টিভাইরাল) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কেউ যেন ব্যবহার না করেন কিংবা কোথাও যেন বিক্রি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে আড়াই কোটি ডোজেরও বেশি টিকা মজুত রয়েছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে আরও ১০ কোটি টিকা আসবে। ফলে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
সোমবার (৮ নভেম্বর) দেশে করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদনের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বেক্সিমকো, স্কয়ার এবং এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস মলনুপিরাভির উৎপাদনে ইমার্জেন্সি ইউজ অথরাইজেশন (ইইউএ) পেয়েছে। এছাড়া আরও ৭ টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইইউএ প্রদান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই ৭টি প্রতিষ্ঠান হলো ইনসেপ্টা, রেনাটা, জেনারেল, ওরিয়ন, একমি ল্যাবরেটরিজ, রেডিয়েন্ট ফার্মা এবং হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।