ভরা মৌসুমে কেনো ঊর্ধ্বমুখী চালের দর? উৎপাদিত ধান গেল কোথায়? ঘুরপাক খাচ্ছে এমন প্রশ্ন। অন্যদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ মিলার আর করপোরেটদের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে লাগাম টানতেই ধানের দর কমলো মণপ্রতি ১০০ টাকা। কিন্তু এখন বড় প্রশ্ন হলো, কোন পথে ধান-চালের বাজার?
প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার ফলনে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবু কৃষক যে ধান পেয়েছেন, তা তুলে দিয়েছেন আড়তদারদের হাতে। নওগাঁর মান্দা ও মহাদেবপুর হাটে কয়েকটি আড়ত ঘুরে জানতে চাই-‘কৃষকের সেই ফলন গেলো কোথায়? তাদের মতে, বড় বড় কোম্পানি এখন বেশি দামে ধান কিনছে। তবে প্রশ্নের আশানুরুপ উত্তর দিতে পারেননি কেউ।
সোমবার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়, অবৈধ মজুত ভাঙার। এতেই মণে ১০০ টাকা কমেছে ধানের দর। স্থানীয় মিলারদের দাবি, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ধান মজুত করেছে পুঁজিপতি করপোরেটরা। গড়ে উঠেছে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক।
সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, সরকারের শক্ত পদক্ষেপের কারণে দ্রুতই স্থিতিশীল হবে ধানের বাজার। পাশাপাশি, দাম নিয়ন্ত্রণে ‘মজুত আইন’ প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে।
পিএসএন/এমঅাই