চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের করণীয় জানাতে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে “চামড়া শিল্পের সংকট : গণমাধ্যমের করণীয়” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউট, হাউজ বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা এবং যশোর রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, শরিয়তপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা এ কর্মশালা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালা পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক চামড়া শিল্পের সংকট নিয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আব্দুল মুত্তালিব, চামড়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার আবুল কাশেম আজাদ এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।
আলোচকরা চামড়া শিল্পের বর্তমান বাস্তবতা, চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে কারিগরি পদক্ষেপসমূহ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, প্রচলিত সংবাদ ও প্রত্যাশিত রিপোর্টিং এবং চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে সাংবাদিকের করণীয় ইত্যাদি বিষয় উপস্থাপন করেন। পাশাপাশি এতিমখানাগুলোকে সম্পৃক্ত করে বিনা সুদে অর্থায়ন পূর্বক চামড়া সংগ্রহে উদ্ভাবনী বিজনেস মডেলের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে সচেতনতা বৃদ্ধি, শিল্পের সংকট সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও নীতিনির্ধারকদের অবহিত করতে গবেষণাধর্মী রিপোর্ট, নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, শিল্প উদ্যোক্তাদের মতামত তুলে ধরা, টেকসই উন্নয়ন প্রচার পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্প গড়ে তোলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা, অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও গবেষণা প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের রিপোর্ট করতে বক্তারা উৎসাহিত করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, চামড়া শিল্পের উন্নয়ন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে, দেশের আপামর জনগণের কল্যাণে প্রশিক্ষণার্থীরা অবদান রাখবেন। চামড়া শিল্পের প্রকৃত সংকট ও সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন, এটা আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যম কর্মীদের পাশে থেকে দেশ গড়ায় সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে চামড়া সংগ্রহে দক্ষতা উন্নয়ন ও শিল্পের সংকট গভীরভাবে বিশ্লেষণপূর্বক বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ করে জনকল্যাণে অনুসন্ধানী রিপোর্ট উপস্থাপিত হবে। এটাই সাধারণের প্রত্যাশা। উত্তম অনুসন্ধানী রিপোর্টের মাধ্যমে এই কর্মশালার সফলতা নির্ভর করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কাউসার আহাম্মদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ নেন পরিচালক ড. মারুফ নাওয়াজ, উপপরিচালক সুমনা পারভীন প্রমুখ।