সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিবকে চড় ও থাপ্পড় মারার জেরে আরেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌসের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর উইং থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সলিসিটর রুনা নাহিদ আকতার এ প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট তামান্না ফেরদৌস এর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মন্ত্রণালয়ের বিগত ০৭-০৭-২০১৯ খ্রি. তারিখের ০৯/সলিসিটর/২০০৯-৬৩ নং স্মারকে প্রদত্ত নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে তাকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
১০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল বরাবর এ অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিব মারামারির ঘটনায় তার সম্মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন। অপরাধীকে বিচারের সন্মুখীন করতে বলা হয়েছে আবেদনে।
জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুমের সামনে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিব ও নারী আইনজীবী তামান্না ফেরদৌসের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে ওইদিনই আইনজীবী মজিবুর রহমান অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। আইনজীবীদের মধ্যে মারামারির ঘটনার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইনজীবীদের ওয়ালে ওয়ালে ঘুরপাক খাচ্ছে।
লিখিত আবেদনে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মজিবুর রহমান উল্লেখ করেন, দুপুর ২ ঘটিকার সময় বারের সম্পাদকের রুমের সামনে অবস্থানকালে আগের শত্রুতার জের ধরে রাজনৈতিক কথাবার্তা চলাকালীন মুহূর্তে হঠাৎ করে সহকারী এটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস আমাকে গালিগালাজ করেন। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার দুইগালে দুইটা চড়-থাপ্পড় মারেন। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে তিনি আমাকে বহিরাগত লোকজন দিয়ে খুন করার হুমকি দেন। ওই ঘটনাস্থলে বিজ্ঞ আইনজীবীরা ও অন্যান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় আমার মান, সম্মান ও ইজ্জতহানি ঘটে। আমি এর বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রস্তুতি সভা শেষে রাষ্ট্রপক্ষের দুই আইনজীবীর মধ্যে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটেছে। সামান্য খাবারের টোকেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাকর। দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
উল্লেখ্য, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মজিবুর রহমান মজিব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য।