চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগ করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক একটি কাগজে নিজের পদত্যাগপত্র লিখে সই করেন।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সভাপতির কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পদত্যাগী শিক্ষক রন্টু দাশ এ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পদেও ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়ম ভঙ্গের বিষয়টি উঠে আসে। এসব সংবাদে ছাত্রলীগ নেতা রন্টু দাশকে শিক্ষক বানাতে যোগ্যতা শিথিলের অভিযোগ ওঠে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রন্টু দাশ নিয়ম ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাঁর সিজিপিএ ছিল ২.৯২। তিনি হত্যা মামলার আসামি। পুলিশের করা একটি মামলায় জেলও খেটেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানায়, গতকাল সকালে রন্টু দাশ নিজ বিভাগে গেলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তাঁকে অবরুদ্ধ করে ইতিহাস বিভাগের সভাপতির কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে তাঁকে শিক্ষকতা থেকে পদত্যাগ করছেন এমন চিঠি লিখতে চাপ দেন। এই চাপের মুখে রন্টু দাশ নিজের পদত্যাগপত্র লেখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর হায়দার আরিফ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদত্যাগ জোরপূর্বক করানো যাবে না। তারা আমাদের অনুরোধ রেখে চলে যান।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও আমি তাঁর কোনো পদত্যাগপত্র পাইনি। তবে অনেকে একটি ছবি পাঠিয়েছেন, যা কোনো দাপ্তরিক নথি নয়।’