ভালোবাসার সপ্তাহের সূচনার দিনে আজ রোজ ডে। এর ধারাবাহিকতায় সপ্তম দিনে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি আসবে ভালোবাসা দিবস। গোলাপকে মনে করা হয় ভালোবাসার প্রতীক। সুন্দরের সূচনা হয় এই গোলাপ দিয়েই। ভালোবাসার হাজারটা দিক প্রকাশ করা যায় এই এক গোলাপের মাধ্যমেই। গোলাপ পেলে খুশি থাকে মন। তবে শুধু কি ভালোবাসা? গোলাপ ফুল খেলেও যে উপকার পাওয়া যায় তা কি জানতেন? মনের পাশাপাশি শরীরের জন্যও গোলাপ উপকারী। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
পিরিয়ডের সমস্যায়
বিশেষজ্ঞদের বলছেন, গোলাপের পাপড়িতে থাকে প্রায় ৯৫% পানি। ফলে এতে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। সেইসঙ্গে এই ফুলের পাপড়িতে থাকে ভিটামিন সি। বদহজমের সমস্যা হলে তা দূর করার জন্য গোলাপের পাপড়ি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে চীনে। পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগছেন যেসব নারী, তাদের ক্ষেত্রেও গোলাপের পাপড়ি উপকারী।
ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায়
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হিমশিম খান অনেকে। কী করলে উপকার মিলবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। আপনিও এমন সমস্যায় ভুগলে আস্থা রাখতে পারেন গোলাপ ফুলে। প্রতিদিন একটি তাজা গোলাপ ছিঁড়ে এনে খেয়ে নিন। এতেই কাজ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে। অন্যদিকে রান্না শাহী স্বাদ যোগ করতে চাইলে রোজ ওয়াটার মেশাতে পারেন।
স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে
গোলাপের সৌরভ মন ভালো করবেই। আয়ুর্বেদ মতে এই সুগন্ধ কাজ করে অ্যারোমা থেরাপি হিসেবে। গোলাপ ফুল খেলে তা আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ করে তুলবে। আবার আপনি যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অনুভব করেন তবে গোলাপের গন্ধ আপনাকে অনেকটাই হালকা করবে। অন্যকে গোলাপ উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নিজের ঘরেও রাখুন। এতে সুফল পাবেন।
পেট ঠান্ডা রাখতে
আমাদের শরীরে গরমের সময়ে তাপ উৎপন্ন হয়; শরীর থেকে সেই তাপ দূর করতে কাজ করে গোলাপের পাপড়ি ও চিনি দিয়ে তৈরি গুলকন্দ। আলস্য, ক্লান্তি, পেট ব্যথা, মুখে ঘা, পেটে ব্যথা, মাথা ব্যথা, নাক থেকে রক্তক্ষরণ, চোখ ফোলা, রোদে পোড়া এসব সমস্যা থেকেও সহজে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এটি। প্রতিদিন দুধের সঙ্গে গুলকন্দ গুলিয়ে খেলে মিলবে উপকার।
ত্বক ভালো রাখতে
রূপচর্চার কাজে গোলাপের ব্যবহার বেশ পুরোনো। মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। গোলাপের তৈরি ফেসপ্যাক ত্বকের পুষ্টি যোগাতে কাজ করে। ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের দাগছোপও দূর করে এটি। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক আর্দ্র থাকবে।