গুগলের পেমেন্ট বিভাগকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নজরদারির আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কনজিউমার ফিন্যান্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরো বা সিএফপিবি। আর এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা করেছে গুগল।
সিএফপিবি’র আদেশ প্রকাশের পর ওয়াশিংটন ডিসি’র ইউএস ডিস্ট্রিক্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করে মার্কিন এই টেক জায়ান্ট।শুক্রবার ভোক্তা আর্থিক সুরক্ষা ব্যুরো বা সিএফপিবি জানায়, কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে কি না তা নির্ধারণের পর ‘গুগল পেমেন্ট কর্পোরেশন’-এর ওপর ফেডারেল নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে তারা।যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক, ক্রেডিট ইউনিয়ন ও অন্যান্য আর্থিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিষয়ে কাজ করে সিএফপিবি। সম্প্রতি বিভিন্ন ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের ওপর নজরদারি চালাতে একটি নিয়ম বা বিধি ঠিক করেছে সংস্থাটি।
আদেশে গুগল ‘পে অ্যাপ’ ও এর ‘পিয়ার-টু-পিয়ার বা পিটুপি’ পেমেন্ট পরিষেবার উপর নজর দিয়েছে সিএফপিবি। তবে এ বছরের শুরুতে গুগল পে অ্যাপ যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।আদেশে সিএফপিবি বলেছে, “ভোক্তাদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এমন আচরণের সঙ্গে গুগল জড়িত কি না তা নির্ধারণের যৌক্তিক কারণ রয়েছে আমাদের কাছে।” এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই সিএফপিবি’র বিরুদ্ধে গুগল মামলা করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিএফপিবি বলেছে, গুগলের আর্থিক লেনদেন ভুলভাবে পরিচালনা ও জালিয়াতি ঠেকাতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আদেশে বলা হয়েছে, লেনদেনের ক্ষেত্রে ভুল ঠিকানায় অর্থ পাঠানো নিয়ে যথাযথ তদন্ত বা এসব বিষয়ে তদন্তের ফলাফল পর্যাপ্তভাবে ব্যাখ্যা করেনি গুগল। এমনকি জালিয়াতি ঠেকাতে যথেষ্ট পদক্ষেপও নেয়নি কোম্পানিটি।
গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন, “গুগল পে-এর পিয়ার-টু-পিয়ার পেমেন্টে পরিষেবা নিয়ে সরকারের বাড়াবাড়ির এক সুস্পষ্ট ঘটনা এই আদেশ। আমাদের গুগল-পে অ্যাপটি কখনও ঝুঁকি বাড়ায়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রে আর ব্যবহারও হয় না এটি। তাই আমরা আদালতে এ আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছি।সিএফপিবি’র আদেশে গুগল পে বন্ধ করার কথা স্বীকার করলেও সংস্থাটি বলেছে, ‘গুগলকে নজরদারির আওতা থেকে দূরে রাখাতে এটি যথেষ্ট নয়।’ তবে কোনো পরীক্ষা চালানোর বিষয়ে প্রভাব ফেলতে পারে এটি।