গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মোবাশ্বের হোসেন নামের এক ছাত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই গুলি ছুড়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা সমকালকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় শহরের জোর পুকুরপাড়ের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে এক ব্যক্তি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে মোবাশ্বের হোসেন নামে আমাদের এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সে গাজীপুর মহানগরের হারিনাল দক্ষিণপাড়া এলাকার আলী আহমেদের ছেলে।’
গাজীপুর মহানগর সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সামিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ‘একজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে গুলি করে পালিয়ে যায়। আহত শিক্ষার্থীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মনজুর মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, রোগির ডান বাহুতে গুলি লেগেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রমের দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
এর প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই দুই সংগঠনের গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, অ্যাডভোকেট সাকিব, কেন্দ্রীয় সদস্য এম সোয়াইব, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খানসহ গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা ইউনিটের সদস্য মাস্টার আনিসুর রহমান, কালিয়াকৈর ইউনিটের সদস্য সুমন বারী, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাবির ইউসুফ