ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৫ মাসে গাজার জনসংখ্যা ৬ শতাংশ কমে গেছে। গাজা ছেড়ে চলে গেছে প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি। আর ইসরায়েলের হামলায় ৫৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো পিসিবিএস এ তথ্য দিয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া সংখ্যা উল্লেখ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।
এছাড়াও নিখোঁজ হয়েছে আরও ১১ হাজার মানুষ। এভাবে যুদ্ধ চলার এই সময়টিতে গাজার জনসংখ্যা প্রায় ১৬০,০০০ কমে নেমে এসেছে ২১ লাখে।
পিসিবিএস বলছে, “ইসরায়েল গাজায় বর্বর আগ্রাসন চালিয়েছে। সেখানকার মানুষ, ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো কিছুই হামলা থেকে বাদ পড়েনি। ইসরায়েলের হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিবন্ধন থেকে মুছে গেছে পুরো একেকটি পরিবার। মানুষের জান-মালের বিপর্যয়কর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
বর্তমানে গাজার জনসংখ্যার ২২ শতাংশ মারাত্মক খাদ্য সংকটে আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ শিশু খাদ্যাভাবে অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস)।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পিসিবিএস এর দেওয়া তথ্য-উপাত্ত অতিরঞ্জিত বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং বহু মানুষের মৃত্যুর কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আছে। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) গতবছর জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধের জন্য ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছিল।
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ গণহত্যার সামিল কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তবে ইসরায়েল বরাবরই গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ইসরায়েলের নিজেদেরকে সুরক্ষার অধিকার আছে এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই গাজায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে তারা দাবি করেছে।